নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ দুটিতে কারা আসছেন এনিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। সাথে কমতি নেই নেতা-কর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হওয়া প্রশ্নেরও। তবে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে কেন্দ্রে 'ম্যান টু ম্যান' যোগাযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। এদিকে মেধাবী ও যোগ্যদেরকেই নেতৃত্বে আনা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব কঠিন সময় পার করছে
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি এবং রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছর মেয়াদি কমিটি হলেও প্রায় আড়াই বছর পর ২১ সালের ৮ ডিসেম্বর সেই কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদিকে কমিটি বিলুপ্তির পর ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিতে আগ্রহীদের সিভি সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বরতরা। এতে ৫৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মী তাদের সিভি জমা দেন।
এদিকে সিভি জমা নেওয়ার পর থেকেই শীর্ষ পদ দুটিতে আসতে কেন্দ্রে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেশ কয়েকজন পদপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে আইন বিভাগের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, অর্থনীতি বিভাগের মিজানুর রহমান লালন ও নাসিম আহমেদ জয় এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও অর্থনীতি বিভাগের ফাহিমুর রহমান সেতু ও ইংরেজি বিভাগের তন্ময় শাহা টনিও কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শীর্ষ পদপ্রার্থী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত প্রতিবেদককে বলেন, 'একজন ছাত্রনেতার প্রথম কাজ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করা ও তাদের প্রয়োজনে কথা বলা। একজন শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্রনেতাই নেতৃত্বে আসবে বলে আশা রাখছি। দায়িত্ব পেলে মাদকমুক্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব নিরাপদ ক্যাম্পাস ও প্রগতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাই লক্ষ্য থাকবে।'
আরও পড়ুন: আবার ঋণ দিতে পারবো
পদপ্রত্যাশী নাসিম আহমেদ জয় জানান,
'শিক্ষার্থীবান্ধব, মাদকমুক্ত ও প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে এমন কেউ নেতৃত্বে আসুক। দায়িত্ব পেলে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ একটি ক্যাম্পাস উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সর্বদা পাশে থাকার চেষ্টা করবো।'
পদপ্রার্থী শেখ মিজানুর রহমান লালন বলেন, 'ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঝে যার গ্রহনযোগ্যতা আছে একইসাথে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যার কোয়ালিটি আছে তারাই নেতৃত্বে আসবে বলে আমি আশাবাদী। দায়িত্ব পেলে ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার সাথে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করবো।'
আরও পড়ুন: দেশে জ্বালানি তেলের ঘাটতি নেই
দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ইবি ছাত্রলীগের কমিটি বিষয়ে জানতে চাইলে এই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ জানান, আমরা একটু পর্যবেক্ষণের সময় নিয়েছি। কারণ ইবি ক্যাম্পাসে বেশ কিছু ঝামেলা ছিলো। আমরা সুপারিশ করবো যেনো সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি হয়।
সান নিউজ/এসআই