সান নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন কথিত বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরী। তবে সভাপতি হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে বিতর্কের রোষানল থেকে বাঁচতে কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: কলকাতাকে হারিয়ে শীর্ষে গুজরাট
শনিবার (২৩ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান কমিটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল দশটায় শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শীলখালী ইউনিয়নের তৃনমুলের কাউন্সিলরদের নিরস্কুশ ভোটে তথা ১০০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তরুন আওয়ামীলীগ নেতা শিক্ষানুরাগী আসাদুজ্জামান চৌধুরী। দ্বিতীয় হয়েছেন বিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খানে আলম। তিনি পেয়েছেন ৬৬ ভোট। আর নুরুল আলম ১৭ পেয়ে হয়েছেন ততৃীয়। অন্য একজন পেয়েছেন মাত্র দুই ভোট।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে ৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সম্পাদক বেলাল উদ্দিন আহমদ। দ্বিতীয় হয়েছেন বাহাদুর করিম। তিনি পেয়েছেন ৮৬ ভোট। তাজ উদ্দিন ভুট্টো ৮ ভোট পেয়ে হয়েছেন ততৃীয়।
এ বিষয়ে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী খানে আলম বলেন, আসাদুজ্জামান চৌধুরী পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরও ছিলেন না। কিন্তু চকরিয়া আওয়ামী লীগের 'বড়' এক নেতার আশীর্বাদে তিনি সম্মেলনে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সম্মেলনে দলীয় স্লোগান দিতে বলা হলে আসাদুজ্জামান চৌধুরী ব্যর্থ হন। বরং তিনি দলীয় স্লোগান বিকৃত করেন। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা সোচ্চার হলে এবং সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ এ কমিটি বাতিলের ঘোষণা দেন। দলের ঐতিহ্য রক্ষায় জেলা আওয়ামী লীগের তড়িৎ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: বাসর রাতে শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণ
এদিকে, অভিযুক্ত মো.আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি কখনো বিএনপি করি নাই। মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তবে কখনো আওয়ামী লীগের দায়িত্বেও ছিলাম না। কিন্তু লেখাপড়া অবস্থায় চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। এটি সকলেই জানে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু ধান্দাবাজ আমার উত্থান সহ্য করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা তা লিখছে। কারণ তারা নানাভাবে দলীয় বিপদগ্রস্ত সাধারণ কর্মী থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত ধান্দাবাজি করে। যেটি আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে জেলা আওয়ামী লীগ বিতর্কিত এ কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ