সারাদেশ

চট্টগ্রামে কোটি থেকে লাখের ঘরে ‘ফুল বিক্রি’

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম : আজ ১৪ ফেব্রুয়াারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সাথে পহেলা ফালগুন। এই দিনকে ঘিরে প্রতিবছর চট্টগ্রাম মহানগরীর চেরাগীর মোড়ের দোকানগুলোতে চলত ফুল বিক্রির উৎসব। কিন্তু এবার চিত্রটা ভিন্ন। ফুল বেচাকেনায় যেন লাগেনি কোনো ভালোবাসা, আসেনি কোনো বসন্ত। এমন কথাই বললেন ফুল বিক্রেতারা।

রোববার সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে এমন কথা শোনালেন চেরাগী মোড়ের ফুল বিক্রেতারা। তারা জানান, অন্যান্য বছর এ সময়টাতে চেরাগীর মোড় এলাকায় পাইকারি-খুচরা পর্যায়ে ফুল বিক্রি কোটি টাকার অঙ্ক ছাড়িয়ে গেলেও এবার তা নেমে এসেছে লাখের ঘরে। একেবারে অর্ধেকে।

বিক্রেতারা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই কমে আসে ফুল বিক্রি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বসন্ত, বৈশাখের মতো উপলক্ষেও ফুল বিক্রি হচ্ছে না আগের মতো। এবার দুই দিবস একত্রে হলেও ফুল বেচা-কেনা তেমন নেই। তবুও ক্ষতি পুষিয়ে হতাশা কাটানোর চেস্টায় রয়েছেন ব্যবসায়িরা।

চেরাগীর মোড়ের রেড রোজ দোকানের কর্মচারী রবিউল জানান, অন্য বছর এ সময় বেচা-কেনার চাপে খাওয়ার সময় পাওয়া যেত না। এবার দোকান ফাঁকা। ব্যবসা কমেছে অন্তত ৪০ ভাগ। অন্যান্য বছর এ সময়ে গড়ে আমরা দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। এখন ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। ফলে আমাদের বেতনও অর্ধেক কমে গেছে।

চেরাগী এলাকায় পাইকারি দামে ফুল বিক্রি করেন হাছান। তিনি জানান, একদিনে দুটি উৎসব। ভিন্ন দিনে হলে ব্যবসাটা আরও ভালো হতো। পহেলা ফালগুনে গাঁদা ফুল, ভ্যালেনটাইনস ডে তে দেশি ও চায়না রোজ যেভাবে বিক্রি হয়, এবার সেভাবে হচ্ছে না।

তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুল বিক্রি কম হচ্ছে। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের বিরুদ্ধে প্রচারণার প্রভাবও পড়েছে। ফলে ফুল বিক্রী কমে গেছে।

হেভেন ফ্লাওয়ার হাউসের সত্ত্বাধিকারী ও চট্টগ্রাম পুস্প বিতান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাছান বলেন, করোনার কারণে লকডাউনের শুরু থেকেই বেচা-কেনা খুব একটা ভালো ছিল না। তবে পহেলা ফালগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ফুলের ব্যবসা কিছুটা জমেছে। এরপরও অন্য বছরের তুলনায় এবার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ব্যবসা কম হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে চার্ষীরা প্রচুর ফুল নিয়ে আসত। কিন্তু এবার তাদের দেখাও মিলছে না সেভাবে। আমাদের এখানেও ৬০টি ফুলের দোকান আছে। আমরা এ দুই উৎসবে প্রায় কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রি করতাম। এ বছর হয়তো ৫০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে।

মোহাম্মদ হাছান বলেন, বেচা-কেনা কম হলেও ফুলের দোকানগুলোতে গোলাপ, লিলি, রজনীগন্ধা, অর্কিড, চায়না রোজ সাজিয়ে রেখেছে ব্যবসায়িরা। ফুল দিয়ে বানানো মেয়েদের মাথায় পরার ফুলের মুকুটসহ হাত ও গলার হারও আছে। সবমিলিয়ে ফুলের ঘাটতি না থাকলেও ক্রেতার ঘাটতি নিয়ে শঙ্কিত দোকানিরা। তবে হতাশার মাঝেও দিনটিতে যতটা পারা যায় ফুল বিক্রি করে করোনাকালের ক্ষতি যতটা সম্ভব পোষানোর আশায় আছেন বিক্রেতারা।

সান নিউজ/আইকে/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লা জেলার সদ...

শিরীন পারভীন দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুদকের পরিচালক...

টেম্পুচাপায় কলেজছাত্রী নিহত

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কালুর...

ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা...

মুন্সীগঞ্জে দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা 

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে চিপস...

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধা...

সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল থেকে দ...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

গরমে ঠান্ডা পানি খেলে কী হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের মধ্যে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি স্বস্তি য...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা