শিল্প ও সাহিত্য
৬৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ

জীবনানন্দের ভাঙা আয়নার ঘর-বসতি

সৈয়দ মেহেদী হাসান : খোদ রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় বাংলা কাব্যসাহিত্যে বিস্ময়করভাবে আলোচিত ছিলেন বিএম কলেজের নিত্যান্ত নিরিহ, মুখচোরা ইংরেজীর এক অধ্যাপক। উপমহাদেশের বড় পত্রিকা ও সমালোচকরা চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে থাকতেন সেই নিরিহ অধ্যাপকের লেখাকে কেটে টুকরো টুকরো করতে। জেডিমা, অশ্লিলতার কবি কিংবা গুঁইসাপ স্যার দেয়া হয়েছিল প্রাথমিক উপনাম। বিশ্বসাহিত্যে কোন কবিকে জীবদ্দশায় এমন উপহাসমূলক উপনাম কখনোই কাউকে পেতে হয়নি।

যদিও সমস্ত কুহক ভেদ করে সেকালের কবিতার ডোমঘরে অনবরত কাটাছেঁড়া হতে থাকা মানুষটি আজ আমাদের কাছে বড়ই পবিত্র নাম। বেদনাদায়ক চিত্তের নির্জলা আশ্রয়ন-জীবনানন্দ দাশ।

রবীন্দ্র যুগে বিএম কলেজের ইংরেজীর অধ্যাপক জীবনানন্দকে নিয়ে আলোচনা মেনে নিতে পারছিলেন না সেই সমস্ত আলোচকরা যারা রবীন্দ্রনাথকে ভগবান বানাতে বসেছিলেন। বিপরীতে জীবনানন্দকে মূল্যায়ন করতে শুরু করলেন স্রোতে ভেসে যাওয়া পানার সাথে। তবে জীবনানন্দ সহ্য-অসহ্যের বালাই কখনোই ধরতেন না। তাই সাহিত্যের ত্রিশের দশকটা যুগ-যুগান্তরে প্রাসঙ্গিক।

‘অন্তর্জাগতিক এবং বাহ্যিক সমালোচনার টেক্কা’-এই দুইয়ে নিরন্তর লড়াই চলতো তখন। নিন্দুকেরা নিন্দা করে যেত আর জীবনানন্দ লিখে যেতেন হিম ডানায় ভর করে। অন্তর্জাগতিকে অভ্যাস্ত জীবনানন্দের লেখার মূল রসদ ছিল তার পারিপার্শি¦ক প্রকৃতি ও পরিবেশ। আরও সংকুচিত করে বললে তার উল্লেখযোগ্য কবিতার অবয়ব গড়ে উঠেছে বিএম কলেজে বা তার আসেপাশে।

তিনি অতিসাধারনের মাঝে অত্যান্ত অসাধারন উপমা-দোত্যনা খুঁজে পেতেন। আরও একটি কথা বলে রাখা শ্রেয় যে বিএম কলেজ, বিএম স্কুল ও তার বাড়ি একই সুতোয় গাঁথা। হাটাপথে জীবনানন্দ কলেজে আসতেন এবং হাটাপথেই বাড়ি ফিরতেন। জীবনানন্দের বাড়ি থেকে বিএম স্কুল যত কাছে, বিএম কলেজ তত কাছে নয়। বিএম স্কুল তার বাড়ি থেকে যেদিকে, কলেজ ঠিক তার উল্টো দিকে। কলেজ আওয়ারে চির চুপচাপ এই মানুষটিকে বিএম কলেজ এলাকায় পাওয়া যেত এবং বিকেলদিকে বিএম স্কুল এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। কোজাগরি পূর্নিমার রাতে প্রায়শই বরিশাল উপ-শহরে যারা বাসকরতেন তারা জোৎস্নাবিলাসে বের হতেন। বের হতেন জীবনানন্দও। বিএম স্কুলের মস্তবড় মাঠটি এসব রাতে ভেসে যেত জোৎস্নার প্লাবনে। পাশেই মন্তাজ মিয়ার ঘোড়ার আস্তাবল। মন্তাজ মিয়ার ছেলে ছিল মঈন। মঈন শব্দটি শুদ্ধরুপে কেউ না ডাকলেও এই শিশুটির বন্ধুরা মঈনকে মহীন বলে ডাকতো বলে জানা যায়। থৈ থৈ জোৎস্নার মাঠে মঈন বা মহীনের পিতা মন্তাজ মিয়ার ঘোড়াগুলো ঘাস খেতো। যেহেতু পিতার ঘোড়া সেই সূত্রে অধিকাংশরা মহীনের ঘোড়া বলেও পরিচিত ছিল। মাঠ, জোৎস্নার প্লাবন আর কোজাগরি পূর্নিমায় ভেসে ভেসে ঘাস খাওয়া ঘোড়াদের চিত্র পাওয়া যায় জীবনানন্দের ‘ঘোড়া’ কবিতার একাংশে।
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জোৎস্নার প্রান্তরে,
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন-এখনও ঘাসের লোভে চরে
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর ‘পরে’।

১৯৩৫ সালে কলকাতা থেকে ফিরে এসে বিএম কলেজে ইংরেজীর প্রভাষক পদে যোগ দেন। এখান থেকে ১৯৭৪ এর কিছু আগে বরিশাল ত্যাগ করে ফের কলকাতায় ফিরে যান। অতিমাত্রায় নিরিহ জীবনানন্দ বিএম কলেজে অধ্যাপনা জীবনে কখনোই শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। পুরো জীবনে হাতে গোনা চার-পাঁচজন ছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায় যারা তার প্রিয় পাত্র ছিলেন কিংবা ঐ কয়জনেই জীবনানন্দের ভক্ত ছিলেন। যদিও বর্তমানে ইংরেজী বিভাগ কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন মূল এলাকা ছাড়িয়ে পশ্চিম সীমানার বর্ধিত অংশে নেয়া হয়েছে। তবে বর্তমান পদার্থবিদ্যা ভবনই ছিল তৎকালীন মূল ভবন। এই ভবনের উল্টোদিকে দুটো ছাত্রাবাস ছিল। একটি মুসলিম ছাত্রদের জন্য, অপরটি হিন্দু ছাত্রদের জন্য। এখনো ছাত্রাবাস দুটি রয়েছে। একটি ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক ছাত্রাবাস। অপরটি কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাস। কলেজের অনেক কিছু বদল হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের মাঝে হিন্দু মুসলমানের এমন আবাসন বিভেদ কেউ আজও ঘোচাতে পারেনি। যে কারনে এখনো বিএম কলেজে ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এটা পরিতাপের বিষয়।

এই ছাত্রাবাস এবং মূল ভবনের মাঝখানের মস্তবড় মাঠটি পেরিয়ে চলাফেরা করতেন জীবনানন্দ দাশ। তার হেটে চলাকে অনেকে তুলনা করতেন ফড়িং বা ভাত শালিখের লাফিয়ে লাফিয়ে চলার সাথে। তিনি কখনোই শ্লথ ধীবরের গতি রপ্ত করে আর দশটা মানুষের মত চলাচল করতেন না। তার হাটাচলায় ছিল গতি ও একাগ্রতা। মূল ভবনের দোতলার পশ্চিম দিকটায় একসময়ে অধ্যাপকদের বসার স্থান ছিল। অন্যান্য অধ্যাপকরা সেখানে খোশগল্পে মেতে থাকলেও জীবনানন্দ তার ক্লাশ শেষ হলে অধ্যাপকদের মিলনায়তনে না বসে পিছনের রেলিংয়ে পাথরের মত বসে থাকতেন। লোকালয়ে কিংবা শেণীকক্ষে বড্ড নিঃসঙ্গ থাকতেন তিনি। কারো দিকে তাকাতেন না। নিরবে ক্লাশে ঢুকতেন। রোল কলের খাতা খুলে নাম ডাকতেন। ক্লাশে শীক্ষার্থীরা সহজেই প্রক্সি দিতে পারতো। কারন জীবনানন্দ কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ করতেন না কেবল নিমগ্নতা ছাড়া। আপন মনে আসতেন, রোল কল করতেন। বই খুলে পড়াতে শুরু করতেন। ঘন্টা পড়লে বই বন্ধ করে কোনদিকে তাকিয়ে তার সহজাত হাটার স্টাইল লাফাতে লাফাতে চলে যেতেন।

ক্লাশে যখন তিনি পড়াতেন তখন অদ্ভুদ এক রুপ ফুটে উঠতো জীবনানন্দের মাঝে। তিনিতো বেটেখাটো ছিলেন। ফলে ক্লাশের ডায়াসের নাগাল জুতসই পেতেন না। তাই অনেকটা ঝুলে পাঠদান করতেন। তার মধ্যে অসম্ভব রকমের মেয়ে ভীতি কাজ করতো। এটা তার স্ত্রী লাবন্য দাশ এর ভয়ে নাকি কেলেংকারীর ভয়ে নাকি সহজাত প্রবৃত্তি ছিল তা কেবল মাত্র তিনিই জানতেন। তবে জোরালো যে বক্তব্য তা হলো, কেলেংকারী থেকে এড়াতে জীবনানন্দ ক্লাশেও ছাত্রীদের দিকে তাকাতেন না। দেশ বিভাগের আগেই কবি বরিশাল ত্যাগ করেন। এর পরে ইংরেজী পড়াতেন প্রমথ নাথ দে বা পিএনডি স্যার। পিএনডি মেয়েদের কথা বলে হেসে কুটি কুটি হতেন। বলতেন মেয়েদের বিশ্বাস করো না। তখন সবেমাত্র কলেজে সহশিক্ষা চালু হয়েছে। ইংরেজী পড়াচ্ছেন পিএনডি। পড়াতে পড়াতে এক ছাত্রীর প্রেমে মজে গেলেন তিনি। তোরজোর শুরু করে দিলেন ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু বাধ সাধলেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা অশ্বিনী কুমার দত্ত। শেষ পর্যন্ত ঐ ছাত্রী পিএনডির গলায় নয় অন্য কারো গলায় মালা পড়িয়েছিলে। তবে এই ঘটনাটা যথারীতি বরিশালে এত আলোড়িত হয় যে শিক্ষকদের কেলেংকারীর পালা। এর আগেও এ ধরনের কম বেশি ঘটেছে। আর শিক্ষক ছাত্রী পছন্দ করলেই তা নিয়ে পাড়া-মহল্লায় সমালোচনার কমতি ছিল না। যে কারনে জীবনানন্দ দাশ হয়তো এমন অবস্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ক্লাশে কারও মুখে তাকাতেন না। সোজাসুজি উপরে তাকিয়ে লেকচার দিতেন। আর ঘন ঘান শ্বাস নিতেন। এসময়ে জিহ্বার সম্মুখভাগ বার বার বাইরে বেড়িয়ে পরতো। তিনি ছাত্রীদের এড়িয়ে চললেও ছাত্রীরা তার এই পুরো বিষয়টিকে তুলনা করতেন গুঁইসাপের সাথে। আর জীবনানন্দ দাশ বা জেডিমা’কে চতুর্থ নাম ‘গুঁইসাপ স্যার’ বলে ডাকতো ছাত্রীরা।

জীবনানন্দর ইংরেজীতে অন্যান্য শিক্ষকের চেয়ে অতুলনীয় পান্ডিত্য ছিল। বিশেষ করে সাহিত্যে। যদিও সুস্পষষ্ট ইংরেজী বলতে পারতেন না। তিনি ক্লাশে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতেন মাঝেমধ্যে। কিন্তু তার শিক্ষার্থীরা এসবে আগ্রহ পেত না। কারন সমসাময়িক সাহিত্য পরিস্থিতি বুঝে ওঠাটা সাধারন কোন বিষয় না। জীবনানন্দ তা বুঝতেন। আলোচনা করার মত লোক পেতেন না। যদিও ঐ সময়ে বরিশালে সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রচুর পরিমানে সভা হতো। পরিহাসের কথা হলো এসবে একবারের মতও নিমন্ত্রন পাননি তিনি। ফলে অবসর কাটানোর জন্য তার কাছে একটিই উপায় ছিল চুপচাপ বসে থাকা। সহকর্মীদের বয়ানে উঠে এসেছে, বিএম কলেজে সকাল আওয়ারে তার ক্লাশ না থাকলে রেলিংয়ে বসে থাকতেন। আর ছুটির পূর্বে ক্লাশ না থাকলে অধ্যাপকদের কক্ষে বসে থাকতেন। তার বিখ্যাত ‘রুপসী বাংলা’ কবিতার বইটি লেখা শুরু করেন বিএম কলেজের মূল ভবনের দোতলায় বসেই। যদিও সুনির্দিষ্ট স্থান ও কাল উল্লেখ করেনি কবি, তবে তার অন্যান্য লেখা এবং লেখার আঙ্গিক বিচারে এমনটাই ধারনা করা হয়। ওদিকে তার বিখ্যাত কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’ লেখা হয় বিএম স্কুলের মাঠ সংলগ্ন ডোমঘরকে কেন্দ্র করে। বিএম স্কুলের মাঠের পাশেই ছিল ডোমঘর বা লাশকাটা ঘর। ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলতো। যখন তুমুল বুষ্টি নামতো তখন ডোমঘরের দরজা খুলে ভিতরে আশ্রয় নিত। জীবনানন্দের যেসমস্ত ছাত্ররা ঐ মাঠে নিয়মিত ফুটবল খেলতে যেত তারা দেখেছে, ডোমঘরে সারি সারি লাশ চিৎ করে রেখে দেয়া হয়েছে। জীবনানন্দও ঐ মাঠে বা ঐ এলাকায় হাটাচলা করতেন। তিনিও দেখেছেন ডোমঘরে লাশেদের রেখে দেবার দৃশ্য।

বরিশালে জীবনানন্দকে কেউ তামাক-বিড়ি-সিগারেট সেবন করতে দেখেনি। তবে একটি ঘটনায় এর ব্যত্যয় পাওয়া যায়। অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত তখন পটুয়াখালীর মুনসেফ। অচিন্ত্যর সাথে জীবনানন্দের আত্মিক এবং জীবনানন্দের প্রিয়ভাজন ছাত্র শামসুদ্দিন আবুল কালামের পত্র যোগাযোগ ছিল। একদিন কলকাতা থেকে পটুয়াখালী যাবার পথে জীবনানন্দের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে ঢুকে পড়েন অচিন্ত্য বাবু। জীবনানন্দকে হাত ধরে টানলেন তিনি। বললেন-চলো। এখনই চলো।
জীবনানন্দঃ বোসো। কোথা যাবে?
অচিন্ত্যঃ না চলো। এখনি চলো। শামসুদ্দিনের বাড়িতে।
জীবনানন্দঃ দাঁড়াও পাঞ্জাবিটা গায়ে দেই।

শেষে যেতে হলো জীবনানন্দকে। শামসুদ্দিনের বাড়িতে অচিন্ত্য বাবুকে ঘিরে আরও কয়েকজন ছিল। চা। প্লেটে বিস্কুট। আরেকটা প্লেটে সিগারেট ও দেশলাই। চা-বিস্কুটের পর সিগারেটের প্লেটটা অচিন্ত্যও দিকে এগিয়ে দিলেন জীবনানন্দ।
-নাও অচিন্ত্য সিগারেট খাও।
-না
-কেন?
-আমি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি।
জীবনানন্দ যেন আকাশ থেকে পড়লেন। যে অচিন্ত্য আজীবন সিগারেট ছাড়া চলতে পারেনি তিনি কি করে সিগারেট না খেয়ে পারে?
-তুমি সিগারেট পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছ?
-হুঁ।
-তুমি সিগারেট পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছ?
-হুঁ
অচিন্ত্য বাবু একটা মাসিক পত্রিকায় মুখ গোজেন। এদিকে একই প্রশ্ন ‘তুমি সিগারেট পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছ?’ বারবার করছিলেন জীবনানন্দ। আর কখনো খুব উচ্চ শব্দে হাঁসছিলেন। অবার হঠাৎ থেমে যান। এভাবে বলতে বলতে প্লেট টেনে একটা সিগারেট ধরিয়ে ঘন ঘন টানছিলেন।

জীবনান্দ তার জীবদ্দশায় বরিশালে কিংবা কলকাতায় সামগ্রিক মানুষের প্রিয় ছিলেন না কখনোই। বরংছ তাকে নিয়ে পিছনে পিছনে অনেক রটনা চলতো। দেশ বিভাগের আগে অনটনকে পুঁজি করে পারি জমাতে হয় কলকাতায়। বরিশালের যে জমি-জিরেত ছিল তার কিছুই বিক্রি করে যাননি তিনি বা তার পরিবার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে ফেলে যাওয়া সেই জমি পুরোপুরি আইনসিদ্ধ করে নেন একটি মুসলিম পরিবার। অথচ কলকাতায় ভাড়া বাসায় থাকতেন জীবনানন্দ। মেয়েটা তখন বড় হয়ে গেছে। বিয়ের উপযোগী। জীবনানন্দ বেকার। ওদিকে ঘরে ব্রাক্ষ্মন ঘরের সুন্দরী স্ত্রী লাবন্য দেবী-স্বামীতে ক্ষিপ্ত। সবমিলিয়ে পারিবারিক কালা পাথর জমে ছিল কবির বুকে। হয়তো সে কারনে ল্যান্সডাউনরোডে চলাচল করা ট্রামের সামনে ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর সেচ্ছায় পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। হইচই শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে যান রাসবিহারী এভিনিউয়ের ল্যান্সডাউনরোডের চা দোকানি চুনিলাল। কেউ একজন ট্রামের নিচে পড়ে আটকে আছেন দেখে অতিমানবীয় শক্তি ক্ষয় করে টেনে বার করেন গোলগাল চেহারার, ধুতি ও পাঞ্জাবী পরিহিত জীবনানন্দ দাশকে। তার আট দিন পর নি:শব্দে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান বাংলা সাহিত্যের সর্বাধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ। শোনা যায়, আহত হবার পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে এক বারের জন্যও হাসপাতালে যাননি লাবন্য দাশ। কিন্তু কেন?

(সৈয়দ মেহেদী হাসান, কবি ও সাংবাদিক)

তথ্য সহায়কঃ
১. অনন্য জীবনানন্দ-ক্লিন্টন বি সিলি
২. ধানসিড়ি সাহিত্য পত্রিকা
৩. বিএম কলেজের শতবর্ষ পূর্তি স্মরণিকা (১৮৮৯-১৯৮৯)।

সান নিউজ /এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

জায়েদের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করলে ছাড় নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শ...

বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এই সিদ্ধান্ত 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নতুন করে...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বেশ কিছ...

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধা...

সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল থেকে দ...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা