আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ভালোবেসে প্রেমিক যুগল ঘর ছেড়ে ছিলেন। বিয়ে করে সংসারও শুরু করেছিরেন তারা। কিন্তু মেয়ের পরিবার শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বাড়িতে। এরপর থেকে তাকে আটকে রাখে। কোনোভাবে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ি সামনে স্বামীর দাবি নিয়ে পোস্টার হাতে দাঁড়ালেন মেয়েটির প্রেমিক ।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। স্ত্রীকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেই জানিয়েছন তিনি।
চার বছর আগে সামশেরগঞ্জের দেবিদাসপুরের মরিয়াম খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় কাফি শেখ নামের এক যুবকের। পরবর্তীতে দুই পরিবারই জেনে যায় তাদের সম্পর্কের কথা। এরপরই শুরু হয় সমস্যা। কাফির সঙ্গে সম্পর্ক কোনদিনই মেনে নেয়নি মরিয়ামের পরিবার। পরবর্তীতে ঘর ছাড়েন তারা। কিন্তু পালালেও শেষ পর্যন্ত মেয়েকে ফিরিয়ে আনে মরিয়ামের পরিবার।
বছর খানেক আগে আবার পালিয়ে বিয়ে যায় তারা। এরপর বিয়ে করে সংসার শুরু করে। বেশ স্বাভাবিকভাবে চলছিল সবকিছু। কিন্তু কাফি বেকার হওয়ায় সাত মাস পর মরিয়মকে আবারও বাড়িতে ফিরিয়ে নেন তার মা। কাফির অভিযোগ, এরপর মরিয়মকে আর তার স্বামীর সংসারে ফিরতে দেয়নি তার বাবারবাড়ি লোকজন। কাফি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
এরপরই গত বুধবার সকাল থেকে পোস্টার হাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসেন কাফি। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কাফির বলেন, তৃতীয়বার পালিয়ে বিয়ে করতে সক্ষম হই। সংসারও ভালই চলছিল। মরিয়াম আমার সঙ্গেই থাকতে চায়, কিন্তু ওর পরিবার জোর করে মরিয়ামকে আটকে রেখেছে। এ সময় তিনি নিজের স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে মরিয়াম বা তার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/পিডিকে/এস