আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : গভীর শোক, বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মভাবে নিহত শহীদ আমিনুল হক গোলোকে। এই দিন ছিল তাঁর ৫২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।
আরও পড়ুন : সেতু-উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ
শহরের নতুনবাবু পাড়া এলাকার বাসিন্দা ডা. জেয়ারত উল্লাহ আহমেদ ছেলে ও শহীদ ডা. জিকরুল হকের (সাবেক এমপি) ছোট ভাই শহীদ আমিনুল হক ছিলেন সৈয়দপুর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ।
১৯৫৮ সালে সৈয়দপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিষ্ঠাতা ২নং সদস্য ও সাবেক কমিশনার। তিনি ছিলেন শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুরাগী। শহরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৮ জুন তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিনটি উপলক্ষে স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদের স্মৃতি স্মারকে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের রক্তধরা ৭১ নামের সংগঠনের আয়োজিত এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজলো আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন।
আরও পড়ুন : ইভিএমের বিপক্ষেই বেশি কথা হয়েছে
বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভপতি সানজিদা বেগম লাকি, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম রাশেদুজ্জামান।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির আহবায়ক এ এ এম মঞ্জুর হোসেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, শহীদ আমিনুল হকের ছোট ছেলে ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সাশ্রয়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’
অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান ময়না, শহীদের সন্তান দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহীদ আমিনুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সৈনিক। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিজস্ব টেপ রেকর্ডারে ধারণ করে হাট বাজার, পাড়া-মহল্লায় মানুষকে শুনিযে উজ্জিবিত করেন।
১৯৭১ সালের ২২ মার্চ রাতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। এসব অপরাধের কারণে সৈযদপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফেরার পথে অবাঙ্গালীরা শহীদ তুলশীরাম সড়ককের সিঙ্গার শো-রুমের সামনে থেকে তাঁকে ধরে বস্তায় ঢুকিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : বিরোধী দল দমনে হিংস্র রূপে সরকার
পরে পৌরসভার সামনে শ্যামসুন্দর সিংহানিয়ার গোডাউনে নিয়ে চোখ উপড়ে নেয়, কান কেটে নেয়, দেহ থেকে হাত পায়ের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। সবশেষে পাটকলের জুটপ্রেসে চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সান নিউজ/এইচএন