আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে টাকার লোভ দেখিয়ে মানসিক প্রতবন্ধী এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা (৬৫) অবশেষে ধরা পড়েছেন।
আরও পড়ুন: পানির দামে পেঁয়াজ বিক্রি
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার হাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় জনতার হাতে আটক হন তিনি। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। আটক ব্যক্তি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বয়েতপাড়ার মৃত. বিষাদু মামুদের ছেলে। ওইদিন দুপুরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নীলফামারী জেলা হাজতে পাঠায়।
এর আগে গত শুক্রবার নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলা করেন। ইতিমধ্যে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে ওই কিশোরী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী বাড়ির পাশে গাছের সুপারি কুড়াতে যায়। এই সুযোগে বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান ওরফে বেল্লা ওই কিশোরীকে একা পেয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাঁড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: তীব্র যানজটে রাজধানীবাসীর নাভিশ্বাস
এ ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে কোন রকম কথাবার্তা না বলে সারাক্ষণ চুপচাপ থাকত। পরবর্তীতে গত ৯ মার্চ ওই কিশোরীর গোপানাঙ্গে ব্যাথা অনুভূত হলে সে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে এই ঘটনায় ওই মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান অভিযুক্তকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ