আন্তর্জাতিক

সেনা হেফাজত থেকে পালাল জঙ্গি নেতা, বিতর্কের মুখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

সামরিক বাহিনীর আশ্রয় প্রশয়েই পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠি হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে, বিষবৃক্ষের মতো তার শেকড় ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। বিশেষজ্ঞদের এই বিশ্লেষণ আর একবার প্রমান হল।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলার নেপথ্যে থাকা এক তালেবান সন্ত্রাসী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে নিয়ে সেনা হেফাজত থেকে পালিয়ে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। আবারও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে।
জানা গেছে, তিন বছর নিরাপত্তা হেফাজতে থাকার পর তার বিরুদ্ধে চার্জ শিট দেয়ার কথা ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর।

পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই ও পেশোয়ার আর্মি স্কুলে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী এহসানুল্লাহ এহসান তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র। ওই হামলার ঘটনার পর থেকে তাকে সপরিবারে রাখা হরয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হেফাজতে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে তার একটি অডিও রেকর্ড। তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারও হয়েছে অনেকবার। এতে এহসাননুল্লাহ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে থাকা তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১১ই জানুয়ারি পালিয়েছেন। এ খবর দিয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএস বলেছে, এ খবরটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সূত্রগুলো।
তারা জানিয়েছে, একটি সেফ হাউজে রাখা হয়েছিল এহসানুল্লাহ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে। সেখান থেকেই পালিয়েছেন তারা। অথচ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিষয়টি জানতে পারে ১২ই জানুয়ারি। এরপর শিগগিরই খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে মোহাম্মদ উপজাতি অধ্যুষিত সাগিবালা গ্রাম ঘেরাও করে তল্লাশি করেছে পাকিস্তানের সেনারা। এ সময় তার পিতা শের মোহাম্মদসহ পরিবারের আরও কয়েক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ওদিকে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জামায়াতুল আহরার নামের আরেকটি জঙ্গি সংগঠনেরও মুখপাত্র এহসানুল্লাহ। পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য তিনি দায়ী। তার মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ১০ লাখ ডলার।

বেশ কয়েক বছর আগে তালেবানরা পাকিস্তানের মেয়েদেরকে স্কুলে না যাওয়ার জন্য ফতোয়া দেয়। ১৬ বছরের কিশোরী মালালা জঙ্গিগোষ্ঠির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিয়মিত মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে কাজ করতে থাকেন বিভিন্নভাবে। গড়ে তোলেন সামাজিক আন্দোলন। সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে। তালেবানদের একধিক হুমকিও তাকে দমাতে পারেনি। পরিণতিতে ২০১২ সালে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর। এহসানুল্লাহর নির্দেশে মালালার মাথায় গুলি করে তার অনুসরণকারী তালেবানরা। সারাবিশ্বে নাড়া দেয় ঘটনাটি। পরে অসম সাহসিকতার জন্য মালালা অর্জন করেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।

২০১৪ সালে পেশোয়ারে আর্মি পাবলিক স্কুলে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে কমপক্ষে ১৩৪ জন ছাত্রছাত্রী ও ১৫ জন স্টাফ নিহত হন। এ হামলায়ও প্রধান অভিযুক্ত এহসানুল্লাহ। এ ছাড়া রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচিতে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ি করা হয় এহসানুল্লাহকে। ওই হামলায় নিহত হন বিদেশী ৯ পর্যটক। এ ছাড়া ২০১৬ সালে লাহোর পার্কে ইস্টার সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ৭৫ জন, আহত হন ৩০০। এই হামলার জন্যও দায়ি করা হয় এই তালেবান নেতাকে।
অবশেষে ২০১৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে রহস্যময় কারণে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর পর পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে তার সাক্ষাতকার নিতে অনুমতিও দেয়া হয়। এ সময় তিনি দাবি করেন, ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর পক্ষে কাজ করছিলেন তিনি।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্...

গাজীপুরে তুলার গোডাউনে আগুন

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার তেল...

ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনের ৪ তলা থেকে পড়ে...

রাজধানীতে হিট স্ট্রোক যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে...

ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৯ শ্রমিক নিহত

জেলা প্রতিনিধি: রাঙামাটির বাঘাইছড়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা