নিজস্ব প্রতিনিধি : সাভার পৌর এলাকার অনেক স্থানে দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকছে না। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। রাতে কিছুটা পাওয়া গেলেও তার পরিমাণ খুবই নগণ্য।
এ বিষয়ে পৌরবাসী একাধিকবার তিতাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানালেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। পৌর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় গ্যাস-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে রান্না করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে হাজারো মানুষ। নিরুপায় হয়ে অনেকেই এলপি গ্যাস, বৈদ্যুতিক চুলা ও মাটির তৈরি চুলা দিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছেন।
সাভারে ব্যাংক কলোনি মহল্লার বাসিন্দা ফিরোজ আলম জানান, বাসা-বাড়িতে সারা দিনে দুই ঘণ্টাও ঠিকমতো গ্যাস পাওয়া যায় না। আর গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে যে সামান্য পানিও গরম করা যায় না। অথচ আমাদের নিয়মিত গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে তিতাসের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের এ ব্যাপারে মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে।
পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, আবাসিক এলাকায় বৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ থাকলেও টাকা দিলেই মিলছে অবৈধ সংযোগ। সরিষার মধ্যে ভূত থাকলে তা রোধ করা কঠিন। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে কতিপয় ঠিকাদার প্রকাশ্যেই অবৈধ সংযোগ প্রদান করছেন। এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগে ঠিকাদার ও স্থানীয় দালালরা প্রতিটি বাড়ির মালিকের নিকট থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা নিয়েছে।
সাভার তিতাস গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, তবে অবৈধভাবে এ সব গ্যাস সংযোগে স্থানীয় সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মীও জড়িত রয়েছেন বলে।
সাভারস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্হাপক আব্দুল মান্নান জানান, গ্যাস সরবরাহ কম হওয়ায় আবাসিক এলাকাগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস বিতরণ করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যে পার্থক্য এর জন্যই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। আমরা যে পরিমাণ গ্যাস পাই তা মোটামুটি সমানভাবে সরবরাহের চেষ্টা করি।
সাননিউজ/এএএ