মাজহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : গ্রাম এলাকার ছোটখাটো সমস্যা ও বিরোধ মীমাংসার জন্য প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম আদালত ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর ফলে পুলিশ ও বিচারিক আদালতে মামলার জটও কমছে। এই ধারাকে অব্যাহত রেখে তৃণমূল পর্যায়ের বিচার লাভ করে দেশের দরিদ্র মানুষ লাভবান হতে পারবে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে গ্রাম আদালত বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক তানজিন্নুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘গ্রাম আদালত আইন ও নারীবান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও জেলা সমন্বয়কারী এসএম রাজু জোবেদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, সমাজে বিচার এবং শান্তি নিশ্চিত করতে পারলে এসডিজি অর্জন করা সম্ভব। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাম আদালতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সমাজে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের কারণে ছোটখাটো মীমাংসাযোগ্য বিষয়গুলো নিয়ে একাধিক মামলা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা আদালতে একটি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এই বোঝা কমাতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং কম খরচে অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে।
অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, দেশের ৩০টি জেলায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম প্রচলিত রয়েছে ২০০৬ সাল থকে। সাতক্ষীরা জেলায় চারটি উপজেলায় ২০১৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গ্রাম আদালতে ১১ হাজার ৪৭৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১১ হাজার ৩০১টি। রায় বাস্তবায়ন হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭টি এবং চলমান রয়েছে ১৭৬টি মামলা। ৯০ দিন সময়সীমা নির্ধারণের পরও বিশেষ কারণে এই বিচারের মেয়াদ ১২০ দিন পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে উল্লেখ করে অবহিতকরণ সভায় আরও বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারকমন্ডলী ৪:১ অনুপাতের ভিত্তিতে রায় নির্ধারণ করে থাকেন। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী এবং দরিদ্র পরিবারসমূহ সুবিধা ভোগ করছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের আরও বেশি করে রিপোর্ট লিখে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সান নিউজ/কেটি