নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ.স.ম. আব্দুর রব জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশ নেবে না তার দল। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যেহেতু বর্তমান সরকার সংবিধানের ইচ্ছা আকাঙ্খা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে না, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা দিচ্ছে এবং পুরনো মামলার সূত্র ধরে আবারও গ্রেফতার শুরু করেছে, সেহেতু শুধুমাত্র ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠন নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য কোনো গ্যারান্টি বা সমাধান নয়। ফলে, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে জেএসডি অংশগ্রহণ করছে না। এ ধরনের অর্থহীন সংলাপ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সুরক্ষার উপযোগীও নয়।
আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় এবং তথাকথিত নির্বাচনকে সরকার বৈধতা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ‘জাতীয় সরকার’ এর প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, সংলাপ হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। চলমান সংলাপ বিষয়ে দলের অবস্থান জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর আ.স.ম. আব্দুর রব ও শাজাহান সিরাজের উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয়। জাসদের জন্ম হয়েছিল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে, বিপ্লবী পথে। পরে ২৩ ডিসেম্বর দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে মেজর জলিল সভাপতি, আ.স.ম. আব্দুর রব সাধারণ সম্পাদক এবং শাজাহান সিরাজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হাসানুল হক (হনু) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
এক সময় দলটি বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। দলটির সংক্ষিপ্ত নাম সমস্যা সমাধানে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আ.স.ম. আব্দুর রবের অংশকে জেএসডি নামকরণ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন এই আ.স.ম. আব্দুর রব।
সান নিউজ/এমকেএইচ