নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে, বাইরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিলে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে পোস্ট শেয়ার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে জাতীয়করণ নয়
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বুয়েটের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সাক্ষরকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব/সোসাইটি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গসংগঠনের অথবা অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা তার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তা অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৮ জুলাই এসএসসির ফল প্রকাশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এ নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বুয়েট প্রশাসন আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর একই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মাউশির নির্দেশ উপেক্ষা করে কর্মসূচি
তবে গত ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে বুয়েটের দুজন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। তারা হলেন ২১ ব্যাচের ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি ও ১৭ ব্যাচের হাসিন আজফার পান্থ। পান্থ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। রাব্বিকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়।
এরপর থেকে ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বুয়েটে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করতে এমনটি করা হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন