নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন : পুলিশ জনগণের বন্ধু
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ভিকটিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে। তদন্ত শেষ করে আসামিকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন : দেশ ধ্বংসে তৎপর বিএনপি
তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ত। তখন মুরাদ ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। অনেক ছাত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাকে বরখাস্তের সুপারিশ না করে বদলির সুপারিশ করে। ১০ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মুরাদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রীরা আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। মামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমরা রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করি।
আরও পড়ুন : ড. ইউনূসের আপিলের রায় প্রকাশ
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সান নিউজ/এমআর