লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান সময়ে যৌথ পরিবারের খুব কমই দেখা মেলে। বেশিরভাগ পরিবারই একক। এই ২ ধরনের পরিবারেরই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে।
আরও পড়ুন : ব্যথানাশক যেসব খাবার
যৌথ পরিবারে কিছু অসুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু সুবিধা থাকে। যেমন- সবার সাথে মিলেমিশে আনন্দে থাকা যায়। সেই সাথে সরাসরি যোগাযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা তৈরিতে কাজ করে যৌথ পরিবার। এছাড়া যৌথ পরিবারে বসবাস করার কারণে মানুষ নেতৃত্বের গুণাবলীও সহজে অর্জন করতে পারে।
জেনে নিন যৌথ পরিবারে বসবাস করার ৫ টি সুবিধা সম্পর্কে-
(১) পরিবারের সদস্যদের সমর্থন পাওয়া : একাধিক প্রজন্ম একসাথে থাকার কারণে পারস্পারিক সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি সহজ হয়। এর অর্থ হলো, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন পাওয়া, সঠিক নির্দেশনা পাওয়া এবং যত্ন পাওয়া। চ্যালেঞ্জিং সময় বা কোনো ব্যক্তিগত সংকটের সময়, আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা নিরাপত্তা এবং স্বস্তি দিতে পারে।
(২) দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া : বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যৌথ পরিবারে দায়িত্ব এবং কাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। এটি গৃহস্থালী কাজের বোঝা কমাতে ও কাজের চাপকে আরও সমানভাবে বন্টন করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া দায়িত্ব ভাগ করে নিলে তা শুধু ব্যক্তিগত চাপই কমায় না, বরং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা ও একসাথে কাজ করার মানসিকতাও গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন : ডাবের পানির ৫ উপকারিতা
(৩) সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ : যৌথ পরিবার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং মূল্যবোধ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরানো প্রজন্মের সাথে বসবাস করার কারণে সাংস্কৃতিক জ্ঞান, গল্প এবং আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারণা গড়ে ওঠে। এতে শিশুরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে শিখে বড় হয়, শেকড়ের সাথে পরিচিতি এবং সংযোগের একটি দৃঢ় বন্ধন তাদের ভেতরে থাকে।
(৪) আর্থিক স্থিতিশীলতা : যৌথ পরিবারের অন্যতম সুবিধা হলো আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। উপার্জনক্ষম সবাই আর্থিক দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ায় চাপ অনেকটাই কমে যায়। ভাড়া, বিভিন্ন বিল, মুদি বাজার ইত্যাদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয়। ফলস্বরূপ খরচ অনেক সাশ্রয় হয়।
আরও পড়ুন : বর্ষায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
(৫) সামাজিকতা এবং বন্ধন : যৌথ পরিবারে পারিবারিক বন্ধনের কারণে সামাজিকতা শেখাটা খুব সহজ হয়ে যায়। নিয়মিত পারিবারিক আড্ডা, উদযাপন এবং খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়ার মতো অভ্যাস পারিবারিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করে। এ ধরনের অভ্যাস মানসিক সুস্থতা, আত্মীয়তার অনুভূতি এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করে।
সান নিউজ/এনজে