জাতীয়

মুজিবনগর সরকারের সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী ১৭ এপ্রিল ইতিহাসের অবিস্মরণীয় দিন আজ। ১৭৫৭-এর ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ এর এইদিনে কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে করে স্বাধীনতার সেই সূর্য উদিত হয়েছিল। সেই থেকে মজিব নগর স্বাধীনতার সূর্যদয়। ইতিহাসের এক অনন্য দিন, অনন্য দলিল। রচিত হয় স্বাধীন বাংলার নতুন ইতিহাস।

এ দিবস উপলক্ষে ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শনিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় তার দপ্তরে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং মন্ত্রী দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পথ বেয়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।

তিনি মুজিব নগর সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করা হয়। ১৭ এপ্রিল এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই সরকার সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপ্রধান এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত করে। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্র, আইন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, কৃষি, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়। চার জন মন্ত্রীকে ১২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে।

মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা বিদ্রোহী হয়ে পড়তাম। ফলে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে কত ব্যাপক এবং সুসংগঠিত ছিল এই সরকারের কর্মসূচি এবং গঠন কাঠামো।

১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সিদ্ধান্ত ও এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতোলায় মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সাননিউজ/এমআর/

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরি...

টঙ্গীবাড়ি ভাতিজারা পিটিয়ে মারলো চাচাকে

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় এক বৃদ্ধা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক...

ইতিহাস গড়ল পুষ্পা: দ্য রাইজ

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন বড়সড় ধামাকা দিতে...

প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে থাইল্যান...

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১৮টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ...

গাজায় গণকবরে শত শত লাশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা