নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
সোমবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতে সোর্পদ করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ। রোববার ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার বায়রা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. কাওসার হোসেন বায়রা চরজামালপুর দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক। সে পটুয়াখালী জেলার উত্তর দরুন্ডী গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে।
জানা যায়, মাদ্রাসার ২ ছাত্র হঠাৎ করে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং লেখাপড়া করতে চায় না। পরিবারের চাপে এক পর্যায় তারা বলে মাদ্রাসার কাওসার হুজুর তার কক্ষে নিয়ে মুখ চেপে ধরে তাদের বলাৎকার করেন এবং কাওকে না বলার জন্য নিষেধ করেন।
এ ঘটনা ফাঁস হলে ক্ষুদ্ধ জনতা কাওসার হুজুরকে ডেকে এনে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক কাওসার হোসেনকে গ্রেফতার করে, ২ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান।
বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ জানান, শিশু দুটির ওপর অমানবিক আচরন করা হয়েছে এবং বলাৎকার করে ওদের রক্তক্ষরণ করা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীর হাত থেকে অভিযুক্তকে(মো. কাওসার হোসেন) প্রানে বাঁচানোর জন্য এখানে এনেছি।
জামায়াত ও হেফাজত ইসলামের লোকেরাই মূলত এ মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছে। এই হুজুর ঐ দলেরই লোক। এ ধরনের ঘটনা সে আগেও ঘটিয়েছে। যা অনেকেই লজ্জায় বলতে পারে নি।
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় মো. কাওসার হোসেন বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং ৬৪ ধারা জবানবন্দি দেয়ার জন্য তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ