সান নিউজ ডেস্ক: পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডিকে পাঠানো এক চিঠিতে ভার্চুয়াল মুদ্রা অবৈধ নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ। -সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে বর্তমানে এ ধরনের মুদ্রার সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিট কয়েন। ২০০৮ সালের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন এবং একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ক্রিপ্টোকারেন্সির উদ্ভাবন করেন। বর্তমান বিশ্বে ভার্চুয়াল এই মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলারের সমপরিমাণ।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন নিয়ে বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি বর্তমানে দুইটি মামলার তদন্ত করছে।
এতে বলা হয় তদন্তের স্বার্থে সংস্থাটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মতামত জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম সম্প্রতি এক চিঠিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান জানিয়েছে সিআইডিকে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নাই মর্মে প্রতীয়মান হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয় বলে খবরে বলা হয়েছে।
এই চিঠিকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বের কোনও আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি না দিলেও বর্তমানে কয়েকটি দেশ যেমন জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং ২০১৩ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সমূহের আওতায় অপরাধ হয়ে থাকলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারে।
সান নিউজ/এমএম