এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে প্রতিদিন বাড়ছে গ্যাস ও সয়াবিনের দাম, ক্রেতাদের নাভিঃশ্বাস। গত ১ সপ্তাহে সব ধরনের সয়াবিন ও সব ধরনের গ্যাসের দাম বেড়েছে অতিমাত্রায়।
প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ২০০-৩০০ টাকা। আর সয়াবিন প্রতি লিটারে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। সাথে দাম বেড়েছে চাউলের। ৫০ কেজি চাউলের প্রতি বস্তায় ২০০-৩০০ টাকার অধিক দাম বেড়েছে। হঠাৎ করে এভাবে গ্যাস, সয়াবিন তেল ও চাউলের দাম বেড়ে যাওয়াতে চরম বিপদে পড়েছেন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো।
রাঙামাটি শহরের মধ্যে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ লোকের বসবাস। এসব লোকগুলোর মধ্যে
সিলিন্ডার বোতল গ্যাসের ব্যবহার প্রচুর। অপরদিকে খাবার রেস্টুরেন্টগুলোতেও ব্যবহার হচ্ছে
সিলিন্ডার বোতল গ্যাস। কি জন্য কেন এসব জিনিসপত্রে দাম বেড়েছে এমন জবাব নেই অনেক দোকানদারের কাছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে হঠাৎ হঠাৎ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম পাইকারি দোকানদারদের অজুহাত দেখান। তারা প্রশাসনকে বিভিন্ন তালবাহানা করে বুঝিয়ে দেন। পরে যে লাউ সেই কদু। মাঝখান থেকে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
ক্রেতা শাহ আলম, মজনু ও শাহিনা বলেন, গরিব মরলে কারও কিছু আশা যায় না। তবে বড়লোক মরলে খবর আছে, আমাদের কথা কে শুনে। হঠাৎ করে যে গ্যাস, চাইল ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে কারও কোন মাথা ব্যথা দেখতে পাচ্ছি না। সরকারের উচিৎ এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
অপরদিকে, টিভি চ্যানেল ও পেপার পত্রিকায় কোন জিনিসের দাম বাড়ছে শুনলেই দোকানদাররা সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য- চট্টগ্রাম চাক্তাই আড়ৎ এ এসব জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়। কারণ বেশি দামে ক্রয় করে থাকি সেজন্য। চট্টগ্রামে দাম বাড়লে রাঙামাটিতেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। তাই স্থানীয় বাজারগুলোতে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এখানে ব্যবসায়ীরা মনগড়া ভাবে দাম বাড়ানোর কিছু নেই। গত সপ্তাহ হতে গ্যাস, সয়াবিন তেল ও চাউলের দাম একটু বেড়েছে। হয়তো ফের কমে যাবে।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট চালু রয়েছে। এসব ব্যাপারেও মোবাইল কোর্ট সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে আপনারা সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ দিলেই হবে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন সব কিছুই করতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখব।
সান নিউজ/কে/কেটি