ঝালকাঠি প্রতিনিধি : পুর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সপ্তাহ খানেক ধরে ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালি নদী প্লাবিত হয়ে নদী ও খাল খাল সংলগ্ন প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩ ফুট পানি বেড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ স্থানীয় বাজার ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : সমরাস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে বিমান বিধ্বস্ত
এর মধ্যে কাঠালিয়া উপজেলার পরিষদ ভবন, ইউএনও’র অফিস ও বাসভবনসহ ১৪টি গ্রাম বিষখালী নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
সুগন্ধার পানি বেড়ে রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা বন্ধর তলিয়ে গেছে। মানকি সুন্দর, নাপিতের হাট, বড়ইয়া, পালট, ঝালকঠি সদরের পৌরসভা খোয়াঘাট, নতুন চর, কলাবাগান, কাঠপট্টি, দিয়াকুল, পোনাবালিয়ালসহ বেশ কিছু গ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুগন্ধা-বিষখালি নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ণিমার জোয়ারের এর কারনে এ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অনেক শাক সবজী নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বাজারে এর প্রভাবে চড়া দামে শাক সবজীসহ কাচা তরকারি কিনতে হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : আমরা হলাম রেফারি
পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন, আউরা আশ্রয়ন ও মধ্যে শৌলজালিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সরকারি ঘর, কাঠালিয়া গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ, কাঠালিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, আউরা, কাঠালিয়া, চিংড়াখালী, জয়খালী, মশাবুনিয়া, পর্যটন কেন্দ্র ছৈলার চর, কচুয়া, শৌলজালিয়া, রঘুয়ার দরি চর, জাঙ্গালিয়াসহ উপজেলার ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ সকল এলাকার কৃষি, মৎস্য ও গ্রামের কাঁচা-পাকা রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিহয়েছে। উপজেলা পরিষদের অফিস ভবনের মেঝেতে পানি ঢুকে পড়ায় আতংকিত রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন : আ’লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না
প্রসঙ্গত, বিষখালী নদীর বেরী বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ সব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ৫০ বছরেও বিষখালী নদীর কাঠালিয়া অংশে বেরী বাঁধ নির্মান না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী বলেন পানি বেড়ে কিছু নিচু অঞ্চলে পানি ডুকেছে। প্রশাসনের সকলকে খোজ নিতে বলা হয়েছে। অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন