স্পোর্টস ডেস্ক: চলছে বর্ষা মৌসুম, সুযোগ পেলেই বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। বর্ষণমূখর আবহওয়ায় চট্টগ্রামে আয়োজিত বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি কার্টেল ওভারের ম্যাচে পরিণত হয়েছে। ফলে ৪৩ ওভার করে পাচ্ছে উভয় দল।
আরও পড়ুন: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টাইগাররা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়নি। তাওহিদ হৃদয়ের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৭০ রান।
চট্টগ্রামের মাটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা সূচনাটা মোটামুটি ভালো করেছিল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ধুঁকতে থাকলেও লিটনের সঙ্গে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। কিন্তু তামিম ইকবাল ফজল হক ফারুকির বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার পরনিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ।
তবে লিটন ধীরস্থির ব্যাটিং করছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ দলের ইনিংসকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু মুজিবের ঘূর্ণি বলের কাছে পরাস্ত হয়ে ২৬ রান করে আউট হন তিনি।
আরও পড়ুন: সেরা গোলরক্ষক জিকো
নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রান করে হন মোহাম্মদ নবির শিকার। সালিম শাফিকে ক্যাচ দিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন।
১৫.১ ওভার খেলা হওয়ার পর নামে বৃষ্টি। উইকেট ঢেকে দিতে হয় প্লাস্টিকের কাভার (ত্রিপল) দিয়ে। যার ফলে খেলাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় খেলা।
সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয় বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এরপরই টানা দুই ওভারে জোড়া ধাক্কা। ২৩তম ওভারের শেষ বলে আজমতউল্লাহর বলে সাকিব কভারে ক্যাচ দেন।
আরও পড়ুন: বিপিএলে রংপুরে খেলবেন সাকিব
মুশফিক পরের ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ খানকে উইকেট দিয়ে আসেন। তিনি অবশ্য নিজেকে খানিকটা দুর্ভাগাই ভাবতে পারেন। কারণ রশিদের ডেলিভারিটি বের হয়ে যাচ্ছিল লেগস্টাম্প দিয়ে, মুশফিকের গায়ে লেগে সেই বল ভেঙে দেয় স্টাম্প।
টানা দুই ওভারে সাজঘরে বাংলাদেশের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ। এরপর ভরসা দিতে পারলেন না দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আফিফ হোসেন ধ্রুবও।
আরও পড়ুন: হৃদয়ের একটা অংশ রেখে যাচ্ছি
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আফিফ দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন এই বাঁহাতি। রশিদ খানের ঘূর্ণি মিস করে প্যাডে লাগে আফিফের।
আম্পায়ার অবশ্য আবেদনে শুরুতে সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে জিতে যায় আফগানিস্তান।
আফিফ ফেরেন ৮ বলে ৪ রান করে। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজও (৫) এলবিডব্লিউ হন, পেসার ফজলহক ফারুকি তার উইকেটটি নেন।
সান নিউজ/এইচএন