সারাদেশ

পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য 

আমিরুল হক, নীলফামারী: জবাই করার আগে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ দেওয়ার চিকিৎসক নেই সৈয়দপুর পৌরসভায়। নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার ভেটেরিনারি সার্জনের এই সনদ দেওয়ার কথা থাকলেও এ কাজ করছেন মাংস বিক্রেতা সমিতির এক নেতা। এ ছাড়া পৌরসভায় স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পদও দীর্ঘদিন শূন্য। এখানে অতিরক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক।

অভিযোগ উঠেছে তিনিও নির্ধারিত কসাইখানায় যান না। তবে অভিযোগ অস্বীকার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলতাব হোসেন বলেন, আমি নিয়মিত যাই। কসাইখানা দুই বছরের জন্য চুক্তি দেওয়া হয়। নাদিম নামের এক কসাই কসাইখানা চুক্তি পেয়েছেন। পৌরকর ও সিলের বিষয়টি তিনিই দেখেন।

সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাদিম আহমেদ বলেন, সৈয়দপুর প্রানিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসক আহসান হাবিব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তারপরই পশু জবাই করে সিল মারা হয়।

পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার খুব বেশি দিন হয়নি। পরিষদের মিটিংয়ে আলোচনা করে ভেটেরিনারি সার্জনের পদের বিষয়ে খুব শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি যত্রতত্র পশু জবাই না করা এবং পশুবর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলার জন্য পৌরবাসির প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে কসাইখানা থাকলেও যে যার মতো শহরের যেখানে খুশি পশু জবাই করছেন। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলেন, এতে না জেনেই হয়ত তারকা রোগসহ, দুর্বল, রুগ্ন, গর্ভবতী পশু জবাই করা মাংস খেতে হচ্ছে তাঁদের।

নতুনবাবু পাড়া এলাকার শিক্ষক কোয়েলিয়া বিশ্বাস বলেন, পরীক্ষা ছাড়াই যত্রতত্র পশু করছে এলাকার কসাইরা। জবাইয়ের পর যেখানে সেখানে বর্জও ফেলা হচ্ছে। এতে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে এখানকার পরিবেশ।

পৌরসভার সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাই করার জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার একটিমাত্র কসাইখানা রয়েছে শহরের সুরকি এলাকায়। সপ্তাহে চার দিন সেখানে ৩০ থেকে ৪০ টি গরু জবাই করা হয়ে থাকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের গোলাহাট রেলকলোনী, গোলাহাট বাজার, মোজার মোড়,সাহেবপাড়া রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে, সাহেবপাড়া আমিন মোড়, মিস্ত্রিপাড়া, টার্মিনাল, বসুনিয়াপাড়া বাইপাস এলাকায় পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন পশু জবাই করছে।

এসব এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেন, গরু প্রতি টাকা নিয়ে যান পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক। তাঁর মোখিক সনদেই পশু জবাই করা হয়। পরে ওই অসাধু কসাইরা নিজেদের বানানো "পরীক্ষিত" লেখা সিল মাংসের গায়ে মেরে নেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট যত্রতত্র পশুপাখি জবাই বন্ধ এবং যথাযথ চিকিৎসকের সনদ ছাড়া পশু জবাই করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের বিধান রেখে ‘পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১১’ নামে নতুন আইন করা হয়। কেউ আইন অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯ অনুযায়ী তিনি অনূর্ধ্ব এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ন্যূনতম পাঁচ হাজার থেকে অনূর্ধ্ব ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায়। চিঠিতে জবাইয়ের আগে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। আগে আমাদের এখানকার সার্জন আহসান হাবিবকে মাঝে মধ্যে কসাইখানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু নানা কারনে সেই যাওয়াটাও এখন নিয়মিত নয়।

সাননিউজ/ জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

কেশবপুরে নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুর রাজ্জাক সরদার, কেশবপুরঃ আগামী ০৮ ই মে ২০২৪, রোজ বুধবা...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টি, নিহত ১৫৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি হ...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বাকেরগ...

সেরা সুন্দরী হলেন ৬০ বছরের আলেজান্দ্রা 

বিনোদন ডেস্ক: সম্প্রতি ৬০ বছর বয়স...

সোনার দাম ফের কমলো 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাজারে সো...

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা