নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ী : করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সংবাদ পেয়ে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত। ফেরি পারাপারের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন।
ঢাকামুখী যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এজন্য ভোগান্তি সত্বেও ঢাকায় আসতে হচ্ছে তাদের। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে গিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে আটটি ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাটে পারের অপেক্ষায় কোনো সিরিয়াল নেই।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় মালিকরা। এরপরই শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
এদিকে শিল্প-কারখানা খোলার অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্প পরিবার তথা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
সাননিউজ/এমএইচ