সারাদেশ

দুধের লিটার পাঁচ টাকা !

সান নিউজ ডেস্ক:

বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্ব এখন টালমাটাল। দেশেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একটানা দশ দিনের ছুটিতে সারা দেশ। এ অবস্থায় জরুরী কাজ ঠাড়া মানুষজনও বাড়ি থেকে বেরুচ্ছেন না। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর পড়েছে এর প্রভাব।

করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানা বন্ধ হওয়ায় দুধের মূল্য কমে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতি লিটার মাত্র পাঁচ টাকায় দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে শাহজাদপুরের পোতাজিয়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতিকে।

সমিতির সভাপতি ওয়াজ আলী জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের উপকারে ও খামারিদের লোকসান কমাতে ফ্যাটমুক্ত দুধ বিক্রি করা হচ্ছে মাত্র পাঁচ টাকা লিটারে।

ওয়াজ আলী জানান, আশির দশক থেকে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুরা, চাটমোহর ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর, উল্লাপাড়ায় গড়ে ওঠে দেশের সর্ববৃহৎ দুগ্ধ অঞ্চল। এ অঞ্চলের ২৫ হাজারের বেশি গো-খামারে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন করা হয়। এসব খামার থেকে মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ ডেইরি, ফার্মফ্রেস, অ্যামোমিল্ক, আফতাব, রংপুর ডেইরি, ব্র্যাকসহ ২০টি প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ ও বাজারজাত করে। করোনাভাইরাসের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লোকসানে পড়েছে খামারিরা, পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষও দুধ পাচ্ছে না।

এদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে বাজারে ক্রেতা স্বল্পতার কারণে শেরপুরের পাঁচ উপজেলায় ব্রয়লার জাতের মুরগির দাম কেজি প্রতি কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

স্থানীয় বাজারগুলোতে ব্রয়লার জাতের মুরগি ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ে জেলার তিন শতাধিক খামারি এখন দিশেহারা।

অন্যদিকে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর পরিবহণ সংকটের কারণে খামারিরা ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মুরগিও সরবরাহ করতে পারছে না। এসব কারণে ব্রয়লার জাতের মুরগির দাম কমে গেছে।

তথ্য মতে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫টাকায়। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছে ৭৫ টাকায়। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে খামারিরা।

ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল গ্রামের খামারি মোতালেব ও ইকরাম আলী জানান, পরিবহন সংকটের কারণে জেলার বাইরে মুরগি পাঠাতে পারছেন না তারা। যে কারণে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মুরগিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা লোকসান ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাদের।

কাওসার পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিডের মালিক আলম মিয়া বলেন, প্রতি মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন খামারিকে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা দিয়ে থাকি। এখন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দেখা দিয়েছে ক্রেতা স্বল্পতা। আর এসব কারণে মুরগির বাচ্চা সরবরাহ যেমন কমেছে তেমনি পোল্ট্রি ফিডের চাহিদাও কমে গেছে।

এভাবে সারা দেশেই কম বেশি পণ্যের মূল্য অনেকটা কমে এসেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উৎপাদনকরীরা।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালিত

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে &...

ফসলী মাঠে পাকা ধান, বন্যা আতংকে কৃষকরা

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:

চেন্নাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিহত ৮ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের তামিলনা...

আমুর সাথে দুই দলের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সাথে আসন...

চার লক্ষ টাকাসহ ৭ জুয়াড়ি গ্রেফতার 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর...

এবার ইউএনও বদলির প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্প...

আত্মসাতের টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংক...

পুলিশ হত্যা মামলায় মোহন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টনে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে পুলিশ...

সম্পদ কমেছে ওমরের, কয়েকগুণ বেড়েছে স্ত্রীর!

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: দ্বাদ...

কাল গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই দিনের সফরে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা