শিল্প ও সাহিত্য
জাপানের গল্প - ১৩

দিন কেটেছে পথে পেথে

পি আর প্ল্যাসিড

মিতুল জাপান আসার কিছুদিন পর জাপানি-বাঙালির এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়। জাপানি-বাঙালি বলতে স্বামী স্ত্রী দু'জন দুই দেশের নাগরিক। প্রতিষ্ঠানের মালিক বাঙালি হবার কারণে স্বভাবতই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীও সংখ্যায় বেশি বাঙালি। মিতুল কাজে যোগদানের কয়েকদিন পর সবার সাথে কথা বলার পর বুঝতে পারে এখানে আমাদের দেশের ভিলেজ পলিটিক্সের মতো রাজনীতি চলে। বরাবরই কেউ না কেউ কারো না কারো বিরুদ্ধে মালিকের কাছে কান কথা লাগায়। বিষয়টি মিতুলের কাছে মোটেও ভালো লাগে না।

মিতুল যার সাথে কথা বলে সে-ই কারো না কারো বিরুদ্ধে সমালোচনা করে তার কাছে। কিছুদিন আগে জাপান আসায় এখনও জাপান সম্পর্কে বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে কোনো কিছু সম্পর্কেই ভালো ধারণা হয়নি তার। এর মধ্যে কারো পক্ষ নিয়ে যে কথা বলবে সেই সাহস টুকুও যেন নেই তার। তাই চেষ্টা করে সবার সাথে চুপ থেকে নিরাপদ এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার। একদিন হঠাৎ করেই বাঙালি স্টাফ সবাই এক সাথে বিদ্রোহ করতে শুরু করে সেখানকারই কোন একজনের বিরুদ্ধে। সেই লোক মালিক পক্ষের খুব কাছের এবং বিশ্বস্ত হওয়ায় সে মিতুল যেখানে

কাজ করে সেখানকার ম্যানেজারকে কোনো কারণে অন্য ব্রাঞ্চে বদলি করার কথা বলে মালিককে ক্ষেপিয়ে তুলে।

সকলের তখন একটাই কথা, কেউ এখানে আর কাজ করবে না। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পরিবর্তন করা যাবে না। ম্যানেজার বদলি করলে অন্য কারো অধীনে তারা কেউ আর কাজ করবে না। মিতুল যতোদিন এখানে কাজ করছে তার দৃষ্টিতে ম্যানেজার খুব ভালো একজন মানুষ। অথচ মালিক কোনো কিছুর সত্যতা যাচাই না করে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে. তার কাছেও বিষয়টি ভালো ঠেকেনি।

তার দোষ কি? কেনো মালিক বর্তমান ম্যানেজারের পরিবর্তন চাইছে? কেনো বলছে, ম্যানেজার বদলি না করলে তারা অন্য ব্রাঞ্চের লোক কাজ করবে না? নিজে নিজেই মিতুল ম্যানেজারের দোষ খোঁজার চেষ্টা করে। নিজের দেখা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পারে, ম্যানেজার একজন ভালো মানুষ। সবার সাথে নরম হয়ে কথা বলে আর ভালো আচরণ করেন, এটাই মনে হয় তার দোষ। উনি নিজেও যদি অন্যদের মতো মালিক পক্ষের কাছে অন্যদের বিষয় নিয়ে কান কথা লাগাতেন তবেই বুঝি ভালো থাকতেন মালিক পক্ষের কাছে। কিংবা সবার সাথে খারাপ আচরণ করলেই বোধ হয় ঠিক হতো। এমনটা মনে করে মিতুল ভাবে, বিদেশের মাটিতেও বাঙালি সেই দেশের রাজনীতি করে নিজেদের কর্মস্থলটাকেও নিজের দেশ বানিয়ে ফেলছে।

ম্যানেজার নিজেও বাঙালি। সে এখানে একজন জাপানি মেয়েকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন সংসার করছেন। অত্যন্ত অমায়িক লোক সে। একটা গ্রুপ যখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, ম্যানেজার তখন মিতুলকে ডেকে অনেকটা পরামর্শ দেবার মতো করে বললেন, মিতুল, তুমিও কি ওদের সাথে বিদ্রোহে যোগ দিচ্ছ নাকি? বলেই আদর মাখা কন্ঠে আবার বললেন, - বোকা, তুমি তো নতুন এসেছ জাপান। তোমার তো এখনও চালানই উঠেনি মনে হয়। তুমি ওদের সাথে যোগ দিলে তো কিছুই করতে পারবে না। ওরা যাই করুক, তুমি ওদের সাথে কোনো কিছু না বুঝে নাচানাচি করো না আবার। এতে ক্ষতি তোমারই হবে।

ম্যানেজারের এমন কথায় অনেকটা মনকে শান্ত করে মিতুল। কিন্তু তার অন্য যারা সহকর্মী তারা মিতুলকে বোঝাতে চেষ্টা করে, এখানে আর কাজ না করতে। তাদের সাথে কাজ ছাড়লে মিতুলকে ভালো কোথাও কাজ খুঁজে দিবে।

ম্যানেজারের কথা মাথায় রেখে কয়েকদিন কাজের জায়গায় ফোন করে সে ছুটি কাটায়। এ সময় তাকে ডেকে নিয়ে বিদ্রোহী দলের সকলে একসাথে বসে পরামর্শ করে কেউ আর কাজে যাবে না। একসাথে এতো জন কাজ ছাড়লে মালিক সমস্যায় পড়বে। পরে বাধ্য হবে তাদের দাবী মেনে নেবার জন্য। বিষয়টি তারা এমনই মনে করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মালিক পক্ষের কথা, ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। তাদের যেই কথা, সেই কাজ। মালিকের সাথে যে কয়জন ছিল তাদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয় প্রথম কয়দিন। এর দুই দিন পর যখন কেউই কাজে আর যোগদান করছিল না, তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ না করে নতুন করে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে মালিক পক্ষ। একদিন পরই কর্মক্ষেত্রে নতুন লোক নিয়োগ দিয়ে সবার শূণ্যস্থান পূরণ করা হয়।

ম্যানেজার ভিতরে ভিতরে মিতুলকে বেশ পছন্দ করেন। যে কারণে কর্মক্ষেত্রে নতুন লোক দিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করলেও মিতুলের সাথে যোগাযোগ করেন ম্যানেজার। এরপর জাপানে সে অন্য বাংলাদেশিদের সাথে বুঝে না বুঝে কারো সাথে একত্র হয়ে একজন লোকের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করার কথা বললেন।

আরো বললেন যে, বিদেশের বাড়িতে তার এমন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে পরবর্তীতে তার নিজেরই ক্ষতি হয়। মিতুলকে সবকিছু বুঝিয়ে বললেন, মালিক পক্ষ তার জায়গায় অন্য কাউকে এখনো নেয়নি। চাইলে সে যে কোনো সময় কাজে যোগদান করতে পারে। তবে কিছুদিন পর গেলে তার জন্য মঙ্গল হবে, এই কথাও জানিয়ে বললেন, যেহেতু একটু ঝামেলা হয়েছে সুতরাং মালিক তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশে ইনফর্ম করে রেখেছে। এখন কর্মক্ষেত্রে গেলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতেও পারে বলে জানালেন মিতুলকে, ম্যানেজার।

মিতুল ম্যানেজারের এমন কথায় ভয় পেয়ে বিদ্রোহী দলের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তার সাথে বিষয়টি আলোচনা করে। একথা শুনে মিতুলকে আরো ভয় দেখিয়ে বললেন, সে যেহেতু জাপান নতুন এসেছে এবং তার ভিসার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সুতরাং সে যেন এখন কাজে আর যোগদান না করে। এতে দেখা যাবে কৌশলে তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলে বাধ্য হয়ে দেশে চলে যেতে হবে। তার চেয়ে ভালো কয়টাদিন ঘরে বসে ভাষাটা শিখতে বলে বললেন, জাপানে ওদের ভাষা জানলে কাজের কোনো সমস্যা নেই। অভাবও নেই। যে কোনো সময় তাকে কাজ ঠিক করে দিতে পারবে। চাইলে সে নিজেও নিজের জন্য যে কোনো ধরনের কাজ খুঁজে নিতে পারবে। তাই বিদ্রোহীদের টোপে যেন পা না দেয়।

ঘরে মিতুলের তখনো নিজের কোনো টেলিফোন না থাকায় ম্যানেজার পরপর আরো কয়েকদিন ঘরে এসে মিতুলকে কাজে যোগদানের কথা বললে পর সে জানায় তার উপর চাপ রয়েছে। সে যেন কাজে আর যোগদান না করে। এজন্য ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যারা দল পাকিয়েছে তাদের নেতা মিতুলকে কাজে যোগদান করতে নিষেধ করে এটাও বলেছে যে, তাদের সম্মতির বাইরে কাজে যোগদান করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে বাধ্য হবে তারা। এসব বিষয় চিন্তা করে মিতুল ম্যানেজারের কথা রাখতে পারছে না বলে জানিয়ে দেয়।

ম্যানেজার মালিকের হয়ে মিতুলকে কাজে যোগদানের জন্য যেভাবে অনুরোধ করেছেন এতে তাদের কোনই স্বার্থ ছিলো না। যা করেছেন তা কেবলই মিতুলের প্রতি মালিক পক্ষের মানবিক কারণে করা। এরমধ্যে মিতুলের সাথে কথা বলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন, দেশে সে যে অনেকটা পড়ালেখা করে এসেছে, তাই। তাছাড়া তার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে কিছুটা জানার কারণেই ভালোর মূল্যায়ন তারা করতে চেয়েছেন মাত্র। অন্য যারা আছে তারা মিতুলের মতো নয়। যে কারণে ম্যানেজার তাকে আলাদা চোখে দেখতে থাকেন বরাবরই।

এরপর বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে মিতুল যেন উভয় পক্ষের গুটি হয়ে যায়। উভয় পক্ষই তাকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করতে শুরু করে একসময়। এরপর নিজে নিজে অনেকটা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে আর কাজে যোগদান করবে না। এটা সে পরবর্তীতে ম্যানেজারকে ফোন করে জানিয়ে দেয়।

মিতুল তখন কোম্পানির ভাড়া করা বাসায় থাকে। যেহেতু সে আর আগের কোম্পানিতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে তাই তাকে তার বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বলা হয়। মিতুল তখনো জানতো না এই বাসা যে ছিল মালিকের নামে। মিতুল ভেবেছিলো কাজে না গেলেও তাকে বাসা ছাড়তে হবে না। কারণ বাসার ভাড়াটা সে নিজে দেয়। কিন্তু স্বার্থের কারণে ভালো মানুষ কখনো কখনো আর ভালো থাকতে পারে না। বাধ্য হয় মালিক পক্ষ বদলে যেতে। এখানে যখন বিষয়টি ম্যানেজারের ইমেজ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই তারা আর চাইবে না তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে বাইরের কোনো লোক তাদের নামে ভাড়া নেওয়া বাসায় থাকুক। যে কারণে তাকে নোটিশ করা হয় দ্রুত বাসা ছেড়ে দেবার জন্য।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে মিতুল কৌশলে কিছু বাঙালির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। যে কারণে একদিনের নোটিশে মিতুল তার বাসা ছেড়ে দিতে সক্ষম হয়। বাসা ছেড়ে তাৎক্ষনিক ভাবে, টোকিওর মেগুরো শহরে এক বাঙালির বাসায় গিয়ে উঠে মিতুল। সেখানে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই তাকে অন্য কোথাও বাসা ঠিক করতে বলা হয় মিতুলকে। বলা হয় এটা তাদের কোম্পানির মালিকের নামে ভাড়া নেয়া তাই মালিকের কাছে কে বা কারা নোটিশ করেছে এই বাসায় বাড়তি লোক থাকছে। তাই বাধ্য হয়ে মিতুল বেরিয়ে পড়ে বাসার খোঁজে।

একদিকে বাসার চিন্তা অন্যদিকে কাজের। তাছাড়া ক্রমেই ফুরিয়ে আসছিল তার জমানো টাকা। অল্প যে ক'টাকা ছিল তা দু'একদিন বাইরে ঘুরেই শেষ। জাপানে রোজগার করে মাস শেষে বেতন পেয়ে কেউ টাকা রাখে না। সবাই প্রায় সাথে সাথেই নিজেদের খরচের জন্য কিছু রেখে বাকি সব টাকা দেশে পাঠিয়ে দেয়। মিতুলও তাই করেছিল। সে কখনো ভাবেনি এভাবে তার বাসা এবং কাজ ছাড়তে হবে, তাই।

জাপানে কমবেশি সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কারো জন্য সহজে বিপদে এগিয়ে আসে না।জাপানে কারো কাজ না থাকা বা বেকারত্ব যেন অনেকটাই অভিশাপের মতো। দিনের বেলা সাধারণত কাউকেই কথা বলার জন্য পাওয়া যায় না। ঘরেও বেশি সময় থাকতে পারে না মিতুল। একা কারো সাথে কথা না বলে থাকা মানে দম তার বন্ধ হয়ে যাওয়া।

প্রতিদিন প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে মিতুল অনেক সকাল পর্যন্ত ঘুমায়। এরপর নাস্তা করে একবার ঘর থেকে বের হলে তার কাছে ঘরের চাবি না থাকায় আর বাসায় ঢুকতে পারে না। দেখা যায় ঘরের অন্য সদস্যরা কাজ শেষে অনেক রাতে ঘরে ফিরে। এমনও হয় রাত আটটা কি নয়টার পর তাকে বাসায় ঢুকতে হয়। সারাদিন এতোটা সময় সে রাস্তায় রাস্তায়-ই ঘুরে বেড়ায়।

কারণ, যে বাসায় সে অস্থায়ী ভাবে থাকে সেই বাসার চাবি তাকে দেয়া হয় না। তাই একবার ঘর থেকে বের হবার সময় ঘরের দরজা লক করে বের হতে হয়। পরে চাবি ছাড়া আর ঢুকতে পারে না। এমন সিস্টেম।

কাজ এবং বাসা ছাড়ার পর থেকে প্রতিদিন সে পরবর্তী কাজ না পাওয়া পর্যন্ত টোকিওর পথে পথে ঘুরে কাটাতে থাকে। পরবর্তী কাজ পেতেও তার বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এসময় দেশে মিতুলের এক বান্ধবী ছিলো তাকে তার এই করুন কথা লিখে জানায়। সেই বান্ধবীর সেই চিঠির উত্তর পেতে পেতে মিতুল আবার তার ঠিকানা বদলে ফেলে। দেশের সেই বান্ধবী তাকে চিঠির উত্তর দিলেও সে চিঠি আর মিতুল পায় না। এক সময় তার সেই বান্ধবীর সাথে মিতুলের সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

(চলবে)

লেখক, জাপান প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঢাবিতে ‘আগুনমুখা’র নেতৃত্বে ফাহাদ-সামদানী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাকিবিল্লাহ ফাহাদকে সভাপতি ও মু. তানযীম সা...

বড়াইগ্রামে ধান, চাল ও গম সংগ্রহের উদ্বোধন

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে বোরো ধান, চাল ও গম সংগ্...

খাগড়াছড়িতে চোলাই মদসহ নারী আটক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে...

হরিপুরে একদিনে ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্...

ভালুকায় তিন রাস্তার উদ্ধোধন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় ৩টি নবনি...

ঢাকার মতো লক্কড়ঝক্কড় বাস কোথাও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সে...

আরও ৫ দিন থাকতে পারে তাপপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবার শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। দেশের ৪টি বিভাগ...

২য় ধাপের শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যা...

কান উৎসবে নজর কাড়লেন ভাবনা

বিনোদন ডেস্ক: কান চলচ্চিত্র উৎসবে...

গবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণ বিশ্ব‌ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা