নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী বেশ কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢল ও হালকা বৃষ্টিতে আবারও তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। আশঙ্কা করছি উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, উজানের ঢলে পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যে কোন সময় পানি নেমে যেতে পারে। আবার উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বন্যার আশঙ্কা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত তিস্তার উজানে গজলডোবা ব্যারেজের কারণে পানি কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে উৎপত্তি হয়ে তিস্তা নদী ভারতে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ভারতের অংশে ভারত সরকার বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা নদীর এক তরফাভাবে ব্যবহার করছে। ফলে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে কোনো পানি থাকে না। এ সময় মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তা। আবার বর্ষাকালে অতিবর্ষণের ফলে ভারতের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলাসহ নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি জেলা।
তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)। যা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সান নিউজ/এনএম