নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেতন সমন্বয় না হলে বাংলাদেশ বিমান ও পাইলটদের মাঝে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাইরে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
বুধবার (১৪ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটদের সংগঠন (বাপা)র নির্বাহী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ৩০ জুলাইয়ের পর সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পাইলট পাবে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
কমিটির একজন দায়িত্বশীল সদস্য জানান, আজ নির্বাহী কমিটিতে বিমানের বেতন সমন্বয়ের বিষয়টি উঠে আসে। নির্বাহী কমিটিতে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে, শিগগিরই বেতন সমন্বয়ে বৈষম্যের বিষয়ে বিমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে। এছাড়াও বিমানের কাছে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীর মতো পাইলটদের বেতন সমন্বয়ের জন্য অনুরোধ করা হবে।
কমিটির ওই সদস্য আরও জানান, বিমান ও বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিপত্রের বাইরেও ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন পাইলটরা। তবে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন সমন্বয় না করলে এই তারিখের পর থেকে পাইলটরা শুধুমাত্র বিমান-বাপার মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবেন। তবে করোনা মহামারি চলাকালে চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি, ওষুধপত্র, ভ্যাকসিন পরিহনের জন্য যেকোনো ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য পাইলটরা সদা প্রস্তুত থাকবেন।
পাইলটরা বলছেন, যদি বিমানের পাইলটরা চুক্তির বাইরে ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি, দুবাই, কাতারের দোহা, সৌদি আরবের দাম্মাম রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হতে পারে।
চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ বিমানে কর্মরতদের বেতন কাটার একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদের একটি অফিস আদেশে বিমানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে পাইলটদের ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেতন কর্তনের বিষয়টি বহাল থাকে। মূলত এ সিদ্ধান্ত থেকেই পাইলটদের ক্ষোভের সূত্রপাত।
বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। বাংলাদেশের কোনো ফ্রন্টলাইনারের বেতন কর্তন হয়েছে বলে আমার জানা নাই। প্রথমে কর্তন করা যেমন একটি অন্যায় হয়েছে, বর্তমানে পাইলট বাদে অন্যদের বেতন সমন্বয়ে আরেকটি অন্যায় করা হলো। অন্যান্য খাতে ফ্রন্টলাইনারদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, আর বিমানে প্রণোদনা তো দূরের কথা, কোয়ারেন্টাইনের জায়গাটিও দেওয়া হয়নি। এখন বেতন কর্তনের বৈষম্য করলো তারা। এ বিষয়টা কি পাইলটরা ভালোভাবে নিতে পারছেন? এমন পেইন দিয়ে, অনেকটা চাপের মধ্যে পাইলটকে ফ্লাইট পরিচালনা করানো হচ্ছে। আমাদের চাকরিটা গ্রাউন্ড জব না।
সান নিউজ/এফএআর