আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাল দানপত্র দলিল তৈরি করে কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শহরের ওয়াপদা এলাকার বাসিন্দা মুশতাক আহমেদ কায়সার।
আরও পড়ুন: বধূবেশে অপু বিশ্বাস!
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে মুশতাক আহমেদ কায়সার বলেন, মৃত্যুর পর আমার দাদা বসির উদ্দীনের রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার ছেলে-মেয়েদের নামে খতিয়ানভুক্ত হয়। বসির উদ্দীনের দ্বিতীয় ছেলে আমার বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন। পৈত্রিক সম্পতির অংশীদার হিসেবে আমি ১৮১৪/১৯ সাফকবলা দলিলমূলে মোট ২১ শতক সম্পত্তি একই এলাকার সিদ্দিকা ইসলাম কল্পনার কাছে বিক্রি করি। সাফকবলা দলিল রেজিস্ট্রি ও সরেজমিন বাস্তব যথাযথভাবে দখল দেওয়ার পর তা ক্রেতা সিদ্দিকা ইসলাম কল্পনার নামে নামজারি ও জমা খারিজ হয়। অথচ আমার চাচা ডা. আবুল হাসান বুলুর ছেলে নাইমুল হাসান গত সপ্তাহের বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন আমার বিরুদ্ধে জাল দলিল করে সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। উল্টো সিদ্দিকা ইসলাম কল্পনার কাছে আমার অংশের বিক্রি করা ওই জমি অবৈধবাবে দখল নিতে আমার চাচাতো ভাই নাইমুল হাসান ও তিনজন ভূমি দালাল জাহাঙ্গীর আলম, মশিউর এবং জুলকার নাইমসহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কোনালের নতুন অধ্যায় শুরু!
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর নাইমুল হাসান ভূমি অফিসের কর্মকর্রতার যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে তার অংশের অতিরিক্ত দুই দশমিক ছয় একর জমি অবৈধভাবে নামজারি করান। এছাড়া ১২৯ নং বাটোয়ারা মামলায় নাইমুল হাসান জেলা যুগ্ম জজ আদালতে বাংলাদেশে না আসার মুচলেকা দেন। আদালতে এমন মুচলেকা দেওয়ার পরও জমি দখলে মহড়া দিচ্ছেন নাইমুল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে নাইমুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান মুশতাক আহমেদ কায়সার।
এ ব্যাপারে কানাডা প্রবাসী নাইমুল হাসান বলেন, আমি অবৈধভাবে অতিরিক্ত কোনো জমি নামজারি করায়নি। বরং পৈত্রিক সূত্রে ১৪৯ শতক জমির মালিক হলেও কায়সার জাল দলিল করে ২৪৮ দশমিক পাঁচ শতক জমি বিক্রি করেছেন। আমার ও আমার ফুফুর দখলে থাকা জমি অবৈধভবে দখল করতে মুশতাক আহমেদ ও তার বাহিনী হামলা
চালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল