সান নিউজ ডেস্ক: গেল ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে বজ্রপাতের ঘটনায় ২২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তাদের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছর বজ্রপাতে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয়। পরের বছর মৃত্যু হয় ১৯৮ জনের। ২০২০ সালে সংখ্যাটি আবার বেড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ২১১ জনে।
সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা ও ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতের সংখ্যা দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।
দেখা যায়, ২০১৬ সালে দেশে বজ্রপাতে মারা যায় ২০৫ জন। একই বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে একই দিন ৫৭ জন মানুষ মারা যায়। যদিও গবেষকরা বজ্রপাত ঠেকাতে উঁচু তালগাছকে খুবই কার্যকর বলে বিবেচনা করছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ঠিক কতগুলো বজ্রপাত হয় সেটি রেকর্ড করার প্রযুক্তি না থাকায় বজ্রপাতের সঠিক সংখ্যা নিরুপণ করা সম্ভব হয়না। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ২৫ মিলিয়ন বজ্রপাত হলেও বজ্রপাতে মানুষ মারা যায় মাত্র ৪০ থেকে ৫০জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ২০১১ সালে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১৮৯ জনের। ২০১২ সালে কিছুটা কমে সেই সংখ্য দাঁড়ায় ২০১ জনে। পরের বছর ২০১৩ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সেই সংখ্যা আরো কমে দাঁড়ায় ১৮৫জনে গিয়ে দাঁড়ায়। একইভাবে ২০১৪ সালে সংখ্যাটি আরো কমে বজ্রপাতে মৃত্যুর হয় ১৭০ জনের।
২০১৫ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা আরো কমে যায়। মৃত্যু হয় ১৬০ জনের। কিন্তু পরের বছর ২০১৬ সালে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায়। ওই বছর ২০৫ জনের মৃত্যু হয়।
একইভাবে পরের বছর ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০১ জনে। ২০১৮ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সর্ব্বোচ্চ রেকর্ড হয়ে সংখ্যাটি ৩৫৯ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এর পরের বছর ২০১৯ সালে কমে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১৯৮ জনের। ২০২০ সালে আবার সংখ্যাটি বেড়ে ২১১ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২৪০০'র মতো বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/ এমএম