আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় কালো সোনা খ্যাত কয়লার সন্ধান মিলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : মার্চেই খুলছে আরও ৪ স্টেশন
মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে পাহাড়ের সরু উঁচু নিচু পথ বেয়ে গোমতী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বামা গোমতী নামক এলাকায় মাটিখুড়ে সম্ভাব্য কয়লার সন্ধান পেয়েছেন স্হানীয়রা।
সরেজমিনে, এলাকার বাসিন্দারা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে প্রচুর পরিমানে কয়লা বের করে আনছেন। এসব কয়লা সংগ্রহ করে তারা রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। সেখানে কয়েকটি জায়গায় এমন কয়লা আছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
আরও পড়ুন : অবহেলার অভিযোগে পুলিশের মামলা
জানা যায়, এক বছর পূর্বে প্রত্যন্ত দুর্গম এ পাহাড়ে কৃষি কাজ করার জন্য মাটি খনন করতে গেলে এ কয়লার সন্ধান পান তারা।
কয়লার খনি পাওয়া গেছে এমন সংবাদ পেয়ে উৎসুখ জনতা খনি দেখতে প্রতিদিন ছুটে যান সেখানে, এ বিষয়টি যদিও এখনো প্রশাসনের নজরে আসেনি।
স্থানীয় কৃষক মো. কামাল বলেন, প্রায় এক বছর আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খনন করতে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
আরও পড়ুন : গণতন্ত্র সূচকে এগিয়েছে দেশ
অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ শুরু করে,এবং পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছে।
ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মিয়া জানান, কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে, তা যাচাই বাছাই করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে যদি কয়লা উত্তোলন করা হয়,তা হলে কয়লা সংকট কিছুটা দুর হয়ে, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি সত্যতা নিশ্চিতে বলেন, বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে দেশে বিদ্যমান কয়লা ঘাটতি পুরণ করা সম্ভব হবে। বিদ্যুতের যে জ্বালানী সঙ্কট, বেকারত্ব দুরীভূত এবং পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ২৬ মার্চ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
আমি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলবো বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের যেন রিপোর্ট পাঠায়। রিপোর্ট নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সান নিউজ/এইচএন