নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের যুবসমাজ যাতে জঙ্গিবাদ বা খারাপ কোনো দিকে না যায় সেজন্য দেশের সব বিভাগে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এমন নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে খাস বা পতিত জমি ব্যবহার করতে হবে। যুবসমাজ যাতে ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। জঙ্গিবাদ বা খারাপ কোনো দিকে না যায়। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের মান ঠিক রাখতে হবে। এতে যে টাকা খরচ হয় তা যেন সঠিক কাজে লাগে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, নদী ড্রেজিং সংক্রান্ত প্রকল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় যুক্ত থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সমন্বয় করবে। তাছাড়া ড্রেজিং কার্যক্রমকে সাবধানতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
হাওড় এলাকায় এলিভেটেড রাস্তা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে শীতকালে ধানচাষ করা যায় এবং বর্ষাকালে পানি চলাচল করতে পাবে। সেই সঙ্গে বর্ষাকালে সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নাম মেঘনা ও ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশনের নাম পদ্মা নদীর নামে করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সংশোধিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর কারণ ও নতুন কাজ বিষয়ে ব্যাখ্যা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে মডেল মসজিদগুলো যেন ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়। এটা যেন জঙ্গিবাদে উৎসাহিত না হয়। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ধানচাষ বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে লবন সহিষ্ণু চাষ বাড়াতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি শুধু বাংলাদেশে নয়, সুইজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডেও হয়। আমার পরিচিত একজন সুইজারল্যান্ডে থাকেন। তিনি জানান, দুই বছরের রাস্তার কাজ আজকে চার বছরেও শেষ হচ্ছে না।
একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন
ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৮২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ৬১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা।
সাননিউজ/এএএ