যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট (ছবি: সংগৃহীত)
রাজনীতি

কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট

সান নিউজ ডেস্ক: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থাকছেন বলে জানিয়েছেন এ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: সয়াবিন ১১০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিএসএমএমইউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সোমবার (১৬ মে) আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড করব। তার অবস্থা বিবেচনা করে পরিবারের সঙ্গে আলাপ করব। তার অভিভাবকরা না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন। এর মধ্যে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে তাকে হয়তো আবারও লম্বা সময়ের জন্য এখানে থাকতে হতে পারে বলে জানান তিনি।

বিএসএমএমইউ পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের হার্টের ক্যাপাসিটি ৬০-৬২ ভাগ থাকা দরকার, সেখানে ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের ক্যাপাসিটি ৩১-৩৩ ভাগ বা কখনো কখনো ৩৪ ভাগ ছিল। এখানে ভর্তি হওয়ার আগে তার বাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করা ছিল। এ পরিস্থিতিতে তিনি আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা তাকে কয়েদি নয়, রোগী হিসেবে দেখেছি।

তিনি আরও বলেন, সম্রাট হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ও স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারতেন না। আমরা শঙ্কিত ছিলাম, এখানে না তার কিছু হয়ে যায়। আজ সকালে আইজি প্রিজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানালেন, আমাদের কাছে অফিশিয়াল কাগজ পাঠাবেন। তবে তাদের দিক থেকে সম্রাট মুক্ত।

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল প্রীতি ম্যাচ বাতিল

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা বোর্ড গঠন করব। তার শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতদিন অন্য কোথাও চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে তারও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন আর সে বাঁধা নেই। তিনি বা তার পরিবার চাইলে এখানে বা অন্য কোথাও কিংবা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রায়হান মাসুম মণ্ডল বলেন, ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তবে ওনার রোগের গতিবিধিটা এমন যে, ওষুধ চলা অবস্থায়ও যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। গত তিন সপ্তাহে চেক করে দেখেছি তার জীবনের ঝুঁকি নেই। যে কারণে আমরা মোটামুটি সেইফ সাইডে ছিলাম যে, তিনি যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যতদিন তিনি আমাদের কাছে ছিলেন, তার অভিভাবক ছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এখন তারা যদি এই দায়িত্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে, তাহলে আমরা পরিবারের কন্ডিশন অনুযায়ী কী চিকিৎসা দরকার, সেটা জানাব। এরপর সিদ্ধান্ত তারা নেবেন, দেশে চিকিৎসা করাবেন নাকি বাইরে।

আরও পড়ুন: চীনে ১১৩ যাত্রী নিয়ে প্লেনে আগুন

তার চিকিৎসা কি বাংলাদেশে করা সম্ভব- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসার সক্ষমতা আছে। কিন্তু এ বিষয়ে অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বাল্বটা লাগিয়েছেন ১৯৯৮ সালে, সিঙ্গাপুরে। তার জন্য হাইলি ইকুইপ জায়গায় যাওয়া ভালো। এরকম জায়গা ঢাকা শহরে কম বা ততটা উন্নত নয়। যে কারণে সিঙ্গাপুর তার জন্য ভালো জায়গা। এর চেয়ে আরও ভালো জায়গায় চাইলে তিনি যেতে পারেন।

সাননিউজ/এমআরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বোয়ালমারীতে বিস্ফোরক মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান আসামি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।...

কেশবপুরে ভূমি অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মারধর ও ঘুষ দাবির অভিযোগ

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে এক স...

ফুলবাড়ীর পল্লীতে এক অসহায় পরিবারের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের সেনড়া গ্রামে পূর্বের শত্রুতার জে...

বোয়ালমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (২২)...

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হলো ভোটাধিকার—নিজেদের প্রতিনিধি নির্...

শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে কথা বলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানম...

দেশের বাজারে আসছে এমজি’র নতুন সুপার হাইব্রিড ও হাইব্রিড প্লাস গাড়ি

দেশের বাজারে সম্পূর্ণ নতুন এইচএস সিরিজের গাড়ি আনতে যাচ্ছে স্বনামধন্য ব্রিটিশ...

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতির...

বোয়ালমারীতে বিস্ফোরক মামলায় ৫ ইউপি চেয়ারম্যান আসামি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।...

ফুলবাড়ীর পল্লীতে এক অসহায় পরিবারের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের সেনড়া গ্রামে পূর্বের শত্রুতার জে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা