মতামত
সমকালীন প্রসঙ্গ

লম্বা চুল ও লুঙ্গি পরার দণ্ড

আবু সাঈদ খান

শালীনতা বা নিয়ম-রীতি সমুন্নত রাখতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে দুটি ঘটনা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রধান ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন। এর একদিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) লুঙ্গি পরে অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তিন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। (সমকাল, ১ অক্টোবর ২০২১)। অবশ্য সংশ্নিষ্ট শিক্ষকরা বলেছেন, 'শুধু লুঙ্গি পরা নয়, তর্কে জড়িয়েছিল ওই শিক্ষার্থীরা, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত।' এ কথায় প্রমাণিত হয়- ঘটনার মূলে লুঙ্গি পরা।

প্রশ্ন হচ্ছে, লম্বা চুল রাখা ও লুঙ্গি পরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুনের পরিপন্থি? তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নিই হ্যাঁ, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-রীতিবহির্ভূত। তাই বলে এর জন্য চুল কেটে দেওয়া এবং পরীক্ষা থেকে বহিস্কারের মতো দণ্ড কি শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য?

যুক্তিগ্রাহ্য কারণেই পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ড্রেসকোড আছে। প্রাক্‌-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রেসকোড আছে। সমাজের নানা অবস্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একই পোশাক পরা তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও নৈকট্য প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত পরিবেশে এ ধরনের রীতি-নীতির প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন হতে হবে ব্যক্তিস্বাধীনতার অবারিত ক্ষেত্র। সেখানে শিক্ষার্থীদের চুল ছেঁটে ছোট করা ও বাবরি রাখার স্বাধীনতা থাকবে। পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার থাকবে। এ অধিকার কেড়ে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগীয় প্রধান বা কর্তৃপক্ষের থাকা উচিত নয়। তারপরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রেসকোড চালু থাকলেও তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা অসংগত। আর অতিমারির মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমন বাড়াবাড়ি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। অনলাইনে যেখানে সচেতন থাকলে লুঙ্গি না প্যান্ট পরা, তা কারও চাক্ষুষ করার সুযোগ নেই। কারণ মিনি পর্দায় শরীরের উপরিভাগই দেখা যায়। এ সুযোগে আমিও লুঙ্গি পরেই অনলাইনে টিভি টকশো ও ওয়েবিনারে যুক্ত হই। কখনও কখনও লুঙ্গি, শার্টের ওপর কোটও চাপাই। অস্বীকার করব না যে, অফ এয়ারে ভিডিও অফ না করে উঠে পড়ায় দু'একবার লুঙ্গিও প্রদর্শিত হয়েছে। ভাগ্যিস, সেখানে কোনো পরীক্ষক ছিলেন না।

শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার এই অনধিকার চর্চা করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিভাগীয় প্রধান- তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে প্রমাণিত। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই শিক্ষক কাঁচি হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কাটতে উদ্যত।

আক্রোশে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা প্রায়ই গ্রামগঞ্জে বাউল ও বয়াতিদের আখড়ায় চড়াও হয় এবং তারা বাউল-বয়াতিদের লম্বা চুল কেটে ছেঁটে উল্লাস প্রকাশ করে। সামরিক শাসনের আগমনকালেও সিপাহিরা যুবকদের লম্বা চুল কাটত আর নারীদের কম বহরের ব্লাউজ পরলে পেটে আলকাতরা মাখিয়ে দিত। একবার ঢাকা নিউমার্কেটের চুল কাটা বাহিনীর সামনে পড়েছিলেন সাহিত্যিক আহমদ ছফা। তার মাথায় লম্বা চুল। একজন সিপাহি এসে যখন তার চুল কাটতে উদ্যত, তখন ছফা তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললেন, চুল কাটতে হয় কাটুন, তবে আমার একখানা কথা আছে। সিপাহি জিজ্ঞাসা করেন, কী কথা? ছফা বলেন, আমার চুলগুলো আমি ভালোবাসি। এটি কাটলে আমার কষ্ট হবে। তাই কষ্ট যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করুন। সিপাহিরা সেই ব্যবস্থার কথা জানতে চান। ছফা বলেন, চুল কাটার আগে আমার গর্দানটা কেটে ফেলুন, তারপর চুলে কাঁচি চালান। তিনি যুক্তি দেন যে, মাথা না থাকলে তার জান থাকবে না, তাই কষ্টও অনুভব করতে হবে না। লোকটাকে পাগল ভেবে সিপাহিরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। এমন সময় একজন সেনা কর্মকর্তা হাজির হন, যিনি ছিলেন ছফা-সাহিত্যের গুণমুগ্ধ পাঠক। তিনি সব শুনে আহমদ ছফার কাছে পুনঃ পুন ক্ষমা চান। এ ঘটনার পর সেদিনের মতো চুল কাটা আর আলকাতরার পোঁচ মারা অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।

আগেই বলেছি, চুল কেটে দেওয়ার সংস্কৃতি পুরোনো। নতুনত্ব হলো যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও চুল কাটনেওয়ালার ভূমিকায় অবতীর্ণ।

হাবিপ্রবির সংশ্নিষ্ট শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোড ভঙ্গের শাস্তি দিয়েছেন। তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। ড্রেসকোডের এমন খÿ ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলেও উদ্যত হয়নি। ব্রিটিশ ভারতে স্বদেশি চেতনায় উদ্বুদ্ধ অনেক শিক্ষার্থী ধুতি, পায়জামা, পাঞ্জাবি, কুর্তা পরে বিশ্ববিদ্যালয় গেছেন। ব্রিটিশ পরিচালিত কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ধুতি কোনো বাধা হয়নি।

বাংলাদেশে বাধা হয়েছে লুঙ্গি। লুঙ্গিকে বলা হচ্ছে, অশালীন পোশাক, যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পরিধেয়। বিখ্যাত রাজনীতিবিদ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঘরে-বাইরে সর্বত্র পরিধেয় ছিল লুঙ্গি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও অনেক সময় লুঙ্গি পরে সাংবাদিক ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন। যে জননেতার নামে দিনাজপুরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সেই হাজী মোহাম্মদ দানেশকে লুঙ্গি পরেই জনসমাবেশে বক্তৃতা দিতে দেখেছি।

লুঙ্গি পরার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়া দেশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন। হাজী মোহাম্মদ দানেশের প্রতিও অসম্মান। এ অসম্মান দেশের অন্নদাতা কৃষকদেরও করা হয়েছে। তাদের পরিধেয় পোশাককে অশালীন বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন হাবিপ্রবির শিক্ষকরা।

আমি লুঙ্গি পরে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি না। সবারই বোধগম্য, লুঙ্গি পরে আসায় আপত্তি নেই- এমন ঘোষণা দিলেও দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া শিক্ষার্থীরা কেউ লুঙ্গি পরে শিক্ষাঙ্গনে আসবেন বলে মনে হয় না। ইতোমধ্যে লুঙ্গি পুরুষের ঘরোয়া পোশাক এবং শার্ট-প্যান্ট ও পাজামা-পাঞ্জাবি কর্মক্ষেত্রের পোশাকে পরিণত হয়েছে। এটিই বাংলাদেশের পোশাকের বিবর্তিত রূপ।

নারীদের পোশাকেও এই বিবর্তন লক্ষণীয়। নারীদের শাড়ি পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ায় বাধা নেই। তারপরও স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কলকারখানায় শাড়ির ব্যবহার কমেছে। সেই স্থান নিয়েছে সালোয়ার-কামিজ। নারীরা শার্ট-প্যান্ট পরতেও শুরু করেছে।

আবার ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বেই মুসলিম নারীরা ব্যাপকভাবে বোরকা-হিজাব পরছেন। অনেকের কাছে হিজাব নিজস্ব আইডেনটিটির প্রতীক। সংবাদপত্রে হিজাব পরার কারণ সম্পর্কে ইউরোপ-আমেরিকায় বসবাসকারী একাধিক মুসলিম নারীর মন্তব্য পড়েছি। তাদের কথা, ৯/১১-এর পর যখন রাস্তা-রেস্তোরাঁ, বিমানবন্দর ও কর্মক্ষেত্রে মুসলিম নামের কারণে অবমাননাকর পরিস্থিতির শিকার হতে লাগলেন, তখন তিনি ও তার মতো অনেকে ইউরোপীয় পোশাক পরিহার করে হিজাব পরতে শুরু করেন। এটি তাদের কাছে প্রতিবাদ। কেউ এই প্রতিবাদের ধরন নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন; সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ।

পোশাকের যেমন রাজনীতি ও সংস্কৃতি আছে, তেমনি অর্থনীতিও আছে। এ প্রসঙ্গে আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের কাছ থেকে শোনা দুটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। এমনই একটি বৃত্তি নির্ধারণী সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও শিক্ষকরা আছেন। এক শিক্ষার্থী সেখানে হাজির হন, তার শার্টের হাতা দুটি গোটানো, যা দেখে ছেলেটি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। একজন শিক্ষক তাকে হাতা খুলতে বললেন। ছেলেটি হাতা খোলার পর সবাই স্তম্ভিত। কারও কারও চোখে জল। তার হাতা দুটি ফাটা। তাই তাকে গুটিয়ে রাখতে হয়েছিল। আরেকটি ঘটনা। ইন্টারভিউতে একটি মেয়ে এসেছেন, বোরকা পরা। তার এই পোশাকে বিরূপ এক শিক্ষিকা বোরকা পরার কারণ জানতে চাইলেন। শিক্ষার্থী বললেন, ম্যাডামকে আলাদা বলবেন। শিক্ষিকার কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থী বোরকা খুলে বসলেন। শিক্ষিকা দেখলেন, তার কামিজটা জরাজীর্ণ। ওই শিক্ষার্থী জানান, তার আরও একটা কামিজ আছে। সেটিরও একই হাল। এমন কামিজ পরে কীভাবে শিক্ষক-সহপাঠীদের সামনে যাবেন! তাই সব গ্লানি আড়াল করতেই বোরকা পরছেন।

এক শিক্ষার্থীর হাতা গোটানো এবং অপর শিক্ষার্থীর বোরকা পরার পেছনে কোনো সংস্কৃতি নেই; ধর্মীয় অনুশাসনও নেই। বিষয়টি অর্থনৈতিক। অর্থনৈতিক কারণেই কোনো শিক্ষার্থীর লুঙ্গি পরাও অস্বাভাবিক নয়।

বছর বিশেক আগে বোরকার ব্যাপকতা নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম। লেখাটি পড়ে ঝিনাইদহ থেকে এক কলেজছাত্রী আমাকে লিখেছিলেন, সব বোরকাধারী নারীই রক্ষণশীল নয়। মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত নয়। ... তাকে দীর্ঘ পথ বাসে চেপে কলেজে যাতায়াত করতে হয়। এ সময় তাকে যাত্রীদের নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতো। এতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তিনি বোরকা ধরেছেন। মেয়েটির প্রশ্ন ছিল- এর পরও আমাকে কি রক্ষণশীল বলবেন? এই চিঠিটি আমাকে ভাবিয়েছিল। সেই থেকে আমি আর কোনো পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করি না।

স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার যখন রাষ্ট্রধর্ম বিধান সংবিধানে সংযোজিত করে, তখন রাজপথে স্লোগান ওঠে- যার ধর্ম তার কাছে/ রাষ্ট্রের কী বলার আছে? আমারও মনে হয়, যার পোশাক তার কাছে; রাষ্ট্রের কিছু বলার নেই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও কিছু বলার নেই। কে কোন পোশাক পরবে, কোন খাবার খাবে; বাটি ছাঁট চুল থাকবে, না বাবরি রাখবে; কোন ধর্ম পালন করবে, তা প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিস্বাধীনতার বিষয়। এ স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের কর্তব্য।

জানা গেছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভাগীয় প্রধান শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী অপসারণের দাবি করছেন। সেটি যৌক্তিক। একই সঙ্গে হাবিপ্রবির সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদেরও অপকর্মের শাস্তি প্রাপ্য।

সাংবাদিক ও লেখক

লেখাটি সমকাল থেকে সংগৃহীত

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

সাজেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা 

জেলা প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ...

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি কাপ্তাই হ্রদে

জেলা প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে কাপ্তাই হ্রদে ম...

এফডিসির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি রিয়াজের

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র...

৪৬তম বিসিএস মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনু...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা