সান নিউজ ডেস্ক: দেশের কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও টিকাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির অনুমোদন ও পরামর্শেই করোনা টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি করে টাকা বানাতে আসিনি
চলমান ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য দেওয়া ফাইজারের টিকার ভায়ালে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২২ লেখা থাকলেও এই টিকা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) করোনা টিকার মেয়াদের সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলেন। সে অনুযায়ী যেসব টিকার মেয়াদ তৈরির ১২ মাসের মধ্যে ছিল তান ১৫ মাস ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ঘোড়ার ডিম পাড়বে
অন্যদিকে ৯ মাসে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া টিকা ১২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এ বিষয়ে পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং করোনা টিকার সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স বিষয়টি সদস্যদেশগুলোকে অবহিত করে।
সেই অনুসারে জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠকে করোনা টিকার তিন মাস অনুমোদন দেয়া হয়। ফাইজারের টিকার মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয় নিয়ে টিকাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি ৫ সেপ্টেম্বর সভা করে। সভার কার্যবিবরণীতে টিকার মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ১৪ নভেম্বর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য) মো. শামসুল হক সারাদেশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে ফাইজারের টিকার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানান। সেই চিঠি অনুযায়ী যেসব টিকার ভায়ালে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২২ সাল লেখা, সেসব টিকার বর্ধিত মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
আরও পড়ুন: তুষারঝড়ে ১২ জনের মৃত্যু
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের জোরালো পদক্ষেপের মধ্যে একটি জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা। সেই পদক্ষেপ পূরণে নেওয়া হয় করোনা টিকা। তবে প্রাথমিকভাবে টিকার মেয়াদ যা ছিল তার থেকে আরও ৩ মাস বৃদ্ধি করা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সারাদেশে চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের করোনা টিকা। সেই টিকার ভায়ালে লেখা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে করোনার টিকা নিতে গিয়েও ফিরে এসেছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
সান নিউজ/এনকে