শিক্ষা

প্যানেল ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন’। সংগঠনটির নেতারা নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ করে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি তোলেন সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে সংগঠটির সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আনসারী মূল বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত। আমাদের শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে দশম গ্রেডের বেতন পায় যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নিবন্ধনপ্রাপ্ত হলেও আমাদের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়নি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ও নিয়োগের সমস্যা সমাধানের জন্য এনটিআরসিএ গঠন করা হলেও ২০০৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মাত্র তিনটি গণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় তারা। কিন্তু এতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের নামে বদলি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তারা।

প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের এই নেতা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং কৃত্রিম শিক্ষক সংকট দূরীকরণে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। মুজিববর্ষের উপহার স্বরূপ একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিই পারে এক আবেদনে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষক সমাজকে অভিশাপ মুক্ত করতে। আর কোনো গণবিজ্ঞপ্তি নয়, প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ এখন সময়ের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি।

তিনি বলেন, এনটিআরসি ২০০৫ সালে গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নির্বাচন করা। ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই গেজেট পাস করে মন্ত্রণালয়। পরিবর্তন আসে এনটিআরসিএ’র। প্রতিবছর অক্টোবর মাসে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্ট থানাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শুন্যপদ ও বিষয়ভিত্তিক পদ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করবেন এবং জেলা শিক্ষা অফিসার সেই তালিকার সঠিকতা যাচাই করে নভেম্বর মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ’তে পাঠাবেন। এনটিআরসিএ ওই তালিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা গ্রহণ করবে। এভাবে চলছিল এনটিআরসিএ’র বাৎসরিক পরীক্ষা গ্রহণ। তখন সনদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সনদ পেলেও অনেকের সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল।

২০১৩ সালের ২০ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপনে সনদের মেয়াদ আজীবন করা হয়। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তখনো ছিল ম্যানেজিং কমিটির হাতে। নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে এগিয়ে রাখা হতো। নিবন্ধন মার্ক কোনো বিষয় ছিল না। মূল যোগ্যতা (স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বাণিজ্য) ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। এছাড়া কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বারবার নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফি বাবদ বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এরপর ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে পাশ হয় নতুন গেজেট। মাল্টিপল চয়েজ ও লিখিতের পাশাপাশি যোগ করা হয় মৌখিক। এককভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে পরীক্ষা নেয় এনটিআরসিএ।

মানববন্ধনে এই নেতা বলেন, এদিকে, নতুন গেজেটের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিয়োগ বঞ্চিত হয়ে ১-১২তমদের কিছু অংশ আদালতের দ্বারস্থ হন, রিট করেন। এতে আটকে যায় ১৩তমদের নিয়োগ সুপারিশের কার্যক্রম। ১৩তমদের একদল আন্দোলন করেন, আদালতের দ্বারস্থ হন এবং পাল্টা রিট করেন। ২০১৬ সালের গণবিজ্ঞপ্তিকে প্রথম চক্র ধরে নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রম চালু হয়।

এ সময় সংগঠনটির সভাপতি আমির আশরাফ ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নিবন্ধনপ্রাপ্তরা বক্তব্য দেন।

সাননিউজ/জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

মিয়ানমারের সেনাদের ফেরত পাঠাল বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের পরিপ্র...

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবি, নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে...

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্...

গাজীপুরে তুলার গোডাউনে আগুন

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার তেল...

ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনের ৪ তলা থেকে পড়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা