সারাদেশ

তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনে সাংসদ শামীম হায়দার

রেজাউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলাবাসির দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি স্বপ্নের তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখেন তিনি।

এছাড়া তিনি সেতু নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর, কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমানসহ জাতীয় পাটির নেতাকর্মীগণ।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রথম সভা গত বছরের ৬ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধীত) প্রকল্প অনুমোদন দেন।

২০১২ সালে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা হয়। সিডিউল মোতাবেক ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

২০১৮ সালে তিস্তা সেতুর কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল উপজেলার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু নির্মাণসহ সংযোগ সড়কের কাজ। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে সংযোগ সড়কের ভুমি অধিগ্রহণ এবং সেতু নির্মাণের কাজ ঝুঁলে যায়। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখা দুই জেলার মানুষগুলো। স্থানীয় এম.পি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য উপস্থাপন করলে গত বছরের ৬ জুলাই একনেক অনুমোদন দেন এবং কাজ শুরু করে।

হরিপুর সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়কে রুপান্তের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুরস্থ চিলমারি তিস্তা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন ।

কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশ্বে নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশ্বে সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার। এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। এম.পি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, সেতুর মুল কাজ শুরু হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেতুটি নির্মাণ হতে দুই জেলাবাসির স্বপ্নপুরণ হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হবে।

সান নিউজ/আরআই/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা