সারাদেশ

পঞ্চগড়ে চা উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড

মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় : দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সমতলের চা চাষে এবং গত ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গের পাচঁ জেলায় ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যেখানে ৩১০টি ক্ষুদ্রায়ন চা বাগান থেকে ১ কোটি তিন লাখ অথবা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়েছে এবং করোনাকালীন সময়েও সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড়।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানানো হয়- চলতি মৌসুমে স্থানীয় চা বাগান থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ ‌৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছিল। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার আওতায় চলমান ১৮টি চা কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এবছর ২০২১ সালে ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা মোট উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড আরও জানায়, ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৬৮০ দশমিক ৮৬ এশর এবং কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হয়েছিল ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি। সেই তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর জমির চাষাবাদ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে বেড়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার কেজি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জাহিরুল ইসলাম তিনি জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা থেকে বুঝা যায় যে যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরে রাখা সম্ভব।

উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের মাধ্যমে চা চাষ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগানেও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর উৎপাদন সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডেও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন তিনি বলেন, সমতল ভূমিতে চা চাষের বিপ্লব ঘটিয়েছে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা।

১৯৯৬ সালে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বপ্রথম চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল যা ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে এ অঞ্চলগুলো দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চলে পরিণত হয়।

তিনি আরও বলেন, চা চাষের সম্প্রসারণের চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে দুটি পাতা একট কুড়ি নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালুসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে পোস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে- যেখানে সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হবে।

শামীম আল মামুন আরও জানান, এ বছর ক্ষুদ্র চাষিরা কাঁচা চা পাতার ন্যায্য দাম পাওয়ার উৎসাহিত হয়েছে। নতুন চা চাষিদের সংরক্ষণ দিনের দিন বাড়ছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং এ এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা