নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রঙ করা মুরগির বাচ্চা। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে নাদুস-নুদুস ছোট ছোট বাহারি রঙের এই মুরগির বাচ্চা।
মূলত লেয়ার মুরগির সাদা বাচ্চাগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা আকর্ষণীয় করে তোলে। মোট ৬টি রঙ ব্যবহার করা হয় বলে জানান নরসিংদি থেকে আসা মুরগিবিক্রেতা পারভেজ (২৫)। বাচ্চাগুলোর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কম বলে লাভও হয় অধিক বলেও জানার তিনি। স্বাভাবিক মুরগির বাচ্চার মতোই এদের খাবার।
প্রতিটি বাচ্চার দাম নেওয়া হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা। বাচ্চাগুলোর গায়ের রঙ সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত থাকে। বাচ্চাগুলো অধিক বিক্রির আশায় ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার লক্ষে মুরগি বিক্রেতা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। বাচ্চাগুলো শিশুদের খুবই পছন্দের।
ব্যতিক্রম এই বাহারি রঙয়ের বাচ্চা যে দেখছেন সেই কিনছেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০টি মুরগির বাচ্চা বিক্রি হয় বলেও জানার ঐ বিক্রেতা।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বালিয়াকান্দির চৌরাস্তার জিরো পয়েন্টে দেখা যায়, রঙিন মুরগির প্রায় ৩ শতাধিক বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। আর ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য মুখে বিভিন্ন কথা বলছেন। তাকে ঘিরে রয়েছেন অনেক কৌতুহলী মানুষ। বিক্রেতা মুরগির বাচ্চাগুলো কখনো তার প্যান্টের পকেটে আবার কখনো বা গলার গামছা দিয়ে বেধে রাখছেন। এগুলো দেখে অনেক ক্রেতা আকৃষ্ট হয়ে বাচ্চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই সকল বাচ্চাগুলো বোম্বের ম্যাজিক মুরগি বলছেন বিক্রেতারা।
বালিয়াকান্দি সদরের করপাড়ার বাসিন্দা মুরগিবিক্রেতা শিখা রানী সরকার বলেন, এ রকম মুরগির বাচ্চা আগে কখনো দেখিনি। সত্যি বড়ই অদ্ভুত লাগছে বাচ্চাগুলোকে। অনেক নাদুস-নুদুস।যদিও রঙ করা তারপরেও অনেক সুন্দর। আমার ছোট বাবুটার জন্য ৬টি রঙয়ের ৬টি বাচ্চা কিনলাম। এগুলো পেলে ও অনেক খুশি হবে।
মুরগিবিক্রেতা পারভেজ বলেন, এই মুরগির বাচ্চাগুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা ঢাকা থেকে এগুলো কিনে এনে তা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি। লাভও ভালো হচ্ছে। এগুলো সহজেই মরে না। যার কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০টি পর্যন্ত বাচ্চা বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এনকে