জাতীয়

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। বাংলাদেশে যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার‘ শীর্ষক এক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ রচনা প্রতিযোগিতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৫২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘শিশু বয়সেই বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের মধ্যে পরোপকারী বৈশিষ্ট্য ও মানবিক গুণাবলীর পরিস্ফুটন ঘটে। কোন অসহায় লোক তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে পায়নি এমন নজির নেই। মানুষের দুঃখকষ্টে আমৃত্যু তার মন কেঁদেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন।’

আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল চেতনা হচ্ছে স্বাধিকার, সুশাসন আর বৈষম্য বিলুপ্তির মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর করা। আজকের পৃথিবীতেও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এবং সুরক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা দূর করা।’

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা মোকাবিলা ও দূরীকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা দূরীকরণ এবং সুশাসন নিশ্চিত করে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘বিচারপ্রাপ্তির অধিকার মানবাধিকারের একটি অংশ। তাই জনগণ যাতে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য সরকার বিচার কার্যক্রমকে অনলাইনের আওতায় আনতে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই জাতীয় সংসদে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়ন করায়।

ফলে করোনার প্রকোপ যখন খুব বেশি তখনও বাংলাদেশের সকল আদালত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় ৪নেতা হত্যাকাণ্ড ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধসহ বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এদেশের মাটিতে হয়েছে।

মানুষের মানবাধিকার রক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ৩ তিনবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেছে।‘

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মূখার্জি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ডিপফেকের শিকার আলিয়া!

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বলিউডের প্রথম...

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যানের পেছনে লিচুবাহী ট্রা...

আজ পবিত্র হজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র হজ আজ। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে জ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৫ জুন) বেশ কিছু খ...

মিনায় ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র হজ পা...

রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: উখিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে...

জনকল্যাণে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ...

ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শুভেচ...

কাল বন্ধ রাজধানীর যেসব সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশজুড়ে কাল পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হব...

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনে ফাটল

জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় উথলীতে রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা