সারাদেশ

সহকারী কাজির কারণে বাড়ছে বাল্যবিবাহ

আমিরুল হক, নীলফামারী: ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন কাজি থাকার কথা থাকলেও আছেন তিন থেকে চারজন। আবার তাদেরও রয়েছে সহকারী কাজি পাঁচ থেকে সাত জন। এ জন্য দিন দিন হু-হু করে বাড়ছে বাল্যবিবাহের সংখ্যা। তবে বাল্যবিবাহের কারণ হিসেবে দরিদ্রতা ধরা হলেও জনসচেতনতার অভাবকে করা হচ্ছে দায়ী। আবার সহকারী কাজিরা অর্থের লোভে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রেজিষ্ট্রার করাচ্ছেন বাল্যবিবাহ।

আরও পড়ুন: পানির দামে পেঁয়াজ বিক্রি

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলা হল রুমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয় সভায় বক্তরা এসব কথা তুলে ধরেন। সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা কর্মসূচির সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার।

এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আহমদ আহসান হাবীব, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী আকতারুল ইসলাম, জেলা ব্যবস্থাপক মাইকেল বাক্সে, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা কর্মসূচির অফিসার আবু তাহেরসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার কচুকাটা, পঞ্চপুকুর, চাপড়া সরমজানি, কুন্দুপুকুর, টুপামারি, সংগলশীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিকাহ রেজিষ্টার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পল্লীশ্রীর প্রকল্প সমন্বয়কারী তাইবাতুন নাহার বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের একই পরিবারের ৫ ভাই নিকাহ রেজিষ্টারের কাজ
করেন। তাদের কেউ পরিচয় দেন না, কে আসল, আর কে নকল। এভাবে অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতেও দেখা যায় বেশ কয়েকটি কাজি। প্রয়োজনের তুলনায় সহকারী কাজিরা বেশী থাকায় দিন দিন বাড়ছে বাল্যবিবাহের হার।

নীলফামারী পৌর এলাকার নিকাহ রেজিস্টার আব্দুল আজিজ বলেন, সকল কাজিদের একজন করে সহকারী আছে। এমনও দেখা গেছে একটি ইউনিয়নে একজন কাজি থাকার কথা থাকলেও বেশ কয়েকজন কাজী আছে। অনেকেই বেশী টাকার লোভে বাল্য বিবাহ কিংবা নানান ধরনের ঝামেলা পকিয়ে রাখছে। ফলে পরবর্তীতে ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে অনেককে।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন

ব্রাকের জেলা সমন্বয়কারী আকতারুল ইসলাম ইসলাম জানান, বাল্যবিবাহের কারণে বিভিন্ন জায়গায় সংসারের কলহ লেগে আছে। আমাদের লিগ্যাল এইডে এই উপজেলা থেকে ১১৮২টি অভিযোগ হয়েছে। এর মধ্যে মীমংসা হয়েছে ৫৬১টি। বাল্যবিবাহের কারণে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে অনেকে। পরবর্তীতে চলছে সংসার নিয়ে বিরোধ।

উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, এ অঞ্চলে বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশী। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার এলেই শোনা যায় কোথাও না কোথাও বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এ বিষয়ে কঠোর তৎপর আছি। আসলে এই অঞ্চলে জনসচেতনার অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। জনসচেনতা বৃদ্ধিও লক্ষে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। আমি আশা করছি অন্যান্য সংস্থাগুলোও বাল্যবিবাহ রোধে জনসচেনতা বৃদ্ধি করবে। আর অহেতুক কোন কাজী বাল্যবিবাহ পড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিবে উপজেলা প্রশাসন।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

হাইকোর্টের আদেশে সংক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমি...

এবার লাক্সের অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন সুহানা 

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড বাদশা শাহরুখ খান ও গৌরি খান দম্পতির কন্য...

বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের...

পদ্মায় ডুবে যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পবা উপজেলার গোহমাবনা এলাকার পদ্ম...

জবির নতুন সহকারী প্রক্টর সাদিদ জাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এর সহকারী প্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা