সান নিউজ ডেস্ক: পুলিশের লাঠিচার্জ এবং জল কামান ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্রব্যমূল ও তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আধাবেলা হরতাল। তবে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তিন যুগ পর বিশ্বকাপে কানাডা
সোমবার (২৮ মার্চ) ভোর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে এ হরতাল শুরু হয়। তবে হরতালে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বাম দলগুলোর সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলোও রাজপথে অবস্থান নেয়।
রাজধানীর পল্টন ময়দানে সকাল ৬টা থেকেই বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের সমালোচনামূলক বক্তব্য দেন। এ সময় পুলিশ তাদের ঘেরাও করে রেখে পুরোটা সময় পরিস্থিতি শান্ত রাখে। তবে বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মিছিল পল্টন মোড়ে আসলে পরিস্থিতি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: র্যাব গণমানুষের আস্থার বাহিনী
শুরুতে পুলিশ এবং ছাত্র ইউনিয়নসহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের কর্মীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কির শুরু হলেও পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় পুলিশ এবং বাম কর্মীদের মাঝে ইট পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামান, টিয়ারসেল গ্যাসসহ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বাম জোটের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, পুলিশের হামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ