আকতারুজ্জামান, মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীর চাষীদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি বাঁধাকপি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের পর এবার যাচ্ছে তাইওয়ানে। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। দেশের সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে গাংনীর চাষিদের। এখানে চাষ করা হয় বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি যা বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় বেড়েছে বৈদেশিক আয়। চলতি মৌসূমে ৫০০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি পাঠানো হয়েছে তাইওয়ানে। আরও ৬০০ মেট্রিক টনের চাহিদা রয়েছে। দিন দিন আরও চাহিদা বাড়ছে।
বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার। আর ওই কপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায়। একাজে সহায়তা করছে এগ্রো ফ্রেশ নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি ও বিদেশ রপ্তানী শুরু হওয়ায় চাষিদের মাঝে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান চাষিরা।
এদিকে স্থানীয় বাজারে বাঁধাকপির দাম কম অথচ কোম্পানীর চুক্তি বদ্ধচাষিরা বেশি দামে কপি বিক্রয় করছেন। এতে অনেকেই কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিরাপদ সবজি চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গাংনী অঞ্চলে শতাধিক কৃষকের মাধ্যমে ৭৫ একর জমিতে নিরাপদ উপায়ে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৪৫ জন চাষী। আগামি বছর আরও অনেক সবজি রপ্তানি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রপ্তানিকারক এগ্রো ফ্রেশ কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার রুবেল আহমেদ ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির এ সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের নজর রাখতে হবে। তাহলে দেশের উদ্বৃত্ত সবজি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন
সান নিউজ/এজে/এনকে