শফিক স্বপন, মাদারীপুর : পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় দেড় শতাধিক এসি ও নন এসি নতুন বাস চলাচলের আশাবাদ করছে মাদারীপুরের পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে অধিকাংশ বাসের ফিটিংসও শেষে হয়েছে। হয়েছে রং তুলির কাজও।
আরও পড়ুন : সেতু-উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন ব্যবসায় আধুনিক সেবা দিতে প্রথম ধাপে নতুন করে বিনিয়োগ করা হবে অন্তত একশ কোটি টাকা।
২৫ জনু চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ভাগ্য বদলানোর মিছিলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সড়কপথে বিরতি ছাড়াই সরাসরি রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াত করতে পারবেন এ অঞ্চলের মানুষ।
যাত্রীদের জন্য মাদারীপুর থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নামছে অন্তত দেড় শতাধিক এসি ও নন এসি আধুনিক নতুন বাস। এরইমধ্যে নামী-দামি কোম্পানীর বাসগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে মাদারীপুরে এসে শহরের ১২টি কারখানায় ফিটিং করা হয়েছে। প্রায় সব কোম্পানীর রুট পারমিট আছে।
আরও পড়ুন : রাশিয়া ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন’
মাদারীপুরের সার্বিক পরিবহন এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের বাসগুলো পরিবহন মালিক সমিতির নামে এন্ট্রি করা আছে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের পরিবহন ছাড়াও বিআরটিসি’র এসি বাস ভাড়া এনে মাদারীপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করছে। আরো নতুন নতুন এসি গাড়ি আমাদের সার্বিক পরিবহন অন্য রুট থেকে এনে এ রুটে চলাচলের ব্যবস্থা করছি।
মাদারীপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিআরটিএ গাড়ি চলাচলে রুট পারমিট দিয়ে থাকে। মাদারীপুরে রুট পারিমট ছাড়া কোন পরিবহন চলাচল করবে না। তবে মাদারীপুরের সড়ক যে কোন পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে সে ক্ষেত্রে তাদেও রুট পারমিট থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের টোল ১ জুলাই শুরু
বরিশালের পরিবহন মালিকরা ঢাকা থেকে বরিশালের যাত্রী উঠিয়ে মাদারীপুরের মস্তফাপুরে নামিয়ে দেয় । এটা অত্যান্তই দু:খ জনক। অবিলম্বে এসব অনৈতিক কার্যক্রম থেকে পরিবহন মালিকদের বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাদারীপুর চন্দ্রা পরিবহন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদুজ্জামান অমিত ভূইয়া জানান, মাদারীপুর-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আমরা এখন পর্যন্ত নেই নাই। সরকার নির্ধারিত ভাড়াই গ্রহন করছি।
পদ্মা সেতু চালুর ফলে যোগাযোগে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে, তেমনি পরিবর্তন আসবে শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতে এমনটাই মনে করছেন মাদারীপুর জেলাবাসী।
সান নিউজ/এইচএন