ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার ইলিশায় মেঘনা নদীতে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজয়ীরা পাচ্ছেন সঙ্গীসহ বিনামূল্যে ডিনারের সুযোগ
ওই ঘটনার জের ধরে রাতেই সাহাজল ব্যাপারীর মাছঘাটে প্রতিপক্ষ ফারুক ব্যাপারীর লোকজন মাছ ব্যবসার গদিঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ২ নং ওয়ার্ডের সাহাজল ব্যাপারীর মাছ ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ইলিশা মাছঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী (আড়তদার) ফরিদ ও ফারুক ব্যাপারী তহবিলের (গদির) জেলেদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: ৩ দফায় শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ
আহতরা জানান, সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের সাহাজল ব্যাপারীর মাছ ঘাটে তার ছেলে মো. ফরিদ ব্যাপারীর জেলে মো. ইলিয়াছ মাঝিমাল্লা নিয়ে নদীতে জাল ফেলে। একই স্থানে ফারুক ব্যাপারীর মাঝি আবুল খায়ের জাল ফেলে।
এ নিয়ে ইলিয়াছ মাঝি ও আবুল খায়ের মাঝির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আবুল খায়ের মাঝির ট্রলারের অন্যান্য জেলেরা ইলিয়াছ মাঝির ট্রলারে হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় ইলিয়াছ মাঝির ছেলে মো. রাজুকে এলোপাতারি মারধর করে তার কান কেটে দেয় আবুল খায়ের ও তার ট্রলারের জেলেরা। পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সব জিআই পণ্যের তালিকা দিতে নির্দেশ
নদী থেকে মাছ নিয়ে এসে ইলিয়াছ মাঝি ফরিদ ব্যাপারীর মাছের আড়দের কাছে গিয়ে বসে। এ সময় ফারুক ব্যাপারীর নেতৃত্বে ঘাটে এসে ধাড়ালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ইলিয়াছ মাঝিকে বেধড়ক মারধর করে।
ফরিদ মাঝির ক্যাশিয়ার মো. শাহাবুদ্দিন বাঁধা দিলে তাকেও এলোপাতারি মারধর করে ফারুক বাহিনী। জলদুস্যদের এলোপাতারি মারধরে ইলিয়াছ মাঝি ও শাহাবুদ্দিন রক্তাক্ত জখম হয়। ফারুক বাহিনী ইলিয়াছের ক্যাশে থাকা মোবাইল ও শাহাবুদ্দিনের নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে আহতদের ডাক-চিৎকারে লোকজন ঝড়ো হলে হামলাকারীরা চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ইলিয়াছ ও শাহাবুদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে শীত
জেলেরা বলেন, কেউ নদীতে জাল ফেলতে হলে জলদস্যু ফারুক ব্যাপারীকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে জেলেদেরকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখায় ফারুক বাহিনী। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ফারুক ব্যাপারী বলেন, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ফরিদের জেলেরা তার জেলেদের উপর হামলা করে। তিনি কাউকে মারধর করেননি। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভোলা থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, নদীতে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই দল জেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে মাছঘাটের একটি গদিঘরে হামলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনজে