আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হেরে গেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই হেরে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন : সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, সান্নার দল তৃতীয় স্থানে আছে।
বিজয়ী দলের সাথে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভোটের পার্থক্য খুব বেশি নয়। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সেন্টার রাইট ন্যাশনাল কোয়ালিশন। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণপন্থি ফিনস পার্টি পেয়েছে ২০.১ শতাংশ ভোট। ন্যাশনাল কোয়ালিশন পেয়েছে ২০.৮ শতাংশ ভোট। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১৯.৯ শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন : ইয়াবাসহ নারী আটক
সেই অর্থে কোনও দলই সরকার গঠনের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। খাতা-কলমে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের সাথে জোট করে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। তবে ভোটের আগে একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল।
এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই ভোট হয়েছে। ফলে ভোটের পর এ ২ দলের পক্ষে জোট গঠন করে সরকার গঠন করা মুশকিল। আবার অপেক্ষাকৃত কম ভোট পাওয়া আরও বেশ কয়েকটি ছোট দলকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। যদিও তাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : বিশ্বে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
অবশ্য পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন শাসক দলের প্রধানমন্ত্রী।
সান্না মারিন বলেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তিনি হার মেনে নিচ্ছেন। তার হাত ধরেই ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে ফিনল্যান্ড। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ফিনল্যান্ডের আইনসভা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন : ফের তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা
৩০ সদস্যের এ সামরিক জোট ন্যাটোয় ফিনল্যান্ডের সাথে সুইডেনও যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে।
ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সে কারণেই তারা ন্যাটোয় যোগ দিতে এত মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুইডেন এখনও সব দেশের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত না পেলেও সম্প্রতি তুরস্কের ভোট পেয়ে ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন : টর্নেডোর তাণ্ডব, নিহত বেড়ে ৩২
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সান্না মারিন। এ বছর দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়ছিলেন তিনি। প্রচারে একাধিকবার ন্যাটোর প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ন্যাটো প্রস্তাব ফিনল্যান্ডের মানুষের ওপর ততটা প্রভাব ফেলেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভয়াবহ লেবার বা মজুরের অভাবই এমন ফলাফলের কারণ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
সান নিউজ/এনজে