মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর ব্রীজের দক্ষিণ পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে বৃষ্টি আসলেই জমে পানি। যা বৃষ্টি চলে গিয়ে রৌদ্র উঠার পরেও ২ থেকে ৩ দিন থেকে যায়। এতে পানির মধ্যে দিয়ে গাড়ি কম গতিতে চলায় সৃষ্টি হয় যানজট। পুরো সড়ক ভালো থাকলেও মাত্র ৫০ মিটার সড়কের জলবদ্ধতার কারনে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা হতে ঢাকা যাওয়ার প্রধান সড়ক সদর উপজেলার মুক্তারপুর সেতুর দক্ষিণ পাশের ঢালে রাস্তার মধ্যে জমে রয়েছে পানি। পানি থাকায় দূর্ভোগে পরেছেন ওই সড়কে যাতায়াতকারী ও রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীরা। ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে প্রচুর যানবাহন চলায়, যানবাহনের চাকার ছিটানো পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে সৃষ্টি হচ্ছে বিড়ম্বনা।
ব্যবসায়ী আসাদুল বলেন, রাস্তার পাশেই আমার দোকান। রাস্তার এই স্থানে নিচু রেখে দুই ধার উঁচু করে সুন্দর করে কার্পেটিং করা হয়েছে। কিন্তু নিচু স্থানের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখেনি। যার কারনে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে, যা গাড়ির চাকায় লেগে আমাদের দোকানের ভিতরে চলে আসে। আমরা দোকানে ব্যবসা করতে পারছি না।
অপর ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, পুরো রাস্তা উঁচু। একখানে রাস্তাটি নিচু। নিচু স্থানের রাস্তার পশ্চিম পাশের অংশ বেশি নিচু পূর্ব পাশের অংশ একটু উঁচু। গাড়ি নিয়ে সবাই উঁচু স্থান দিয়ে যেতে চায়। এতে বৃষ্টি আসলেই উচু স্থান দিয়ে গড়িগুলো যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। ফলে প্রায়ই এখানে গাড়িওয়ালাদের মধ্যে মারামারির সৃষ্টি হয়। ঘটে দূর্ঘটনাও।
সিএনজি চালক শহীদুল বলেন, আমি সিএনজি চালাই। এ স্থানের রাস্তার মধ্যে পানি জমে থাকায় পানির নিচে রাস্তায় গর্ত দেখা যায় না। মাঝে মধ্যেই গর্তের মধ্যে সিএনজির চাকা পরে ঘটে দূর্ঘটনা। সরকার রাস্তা বানাইছে, সংস্কার করছে সবই ঠিক আছে কিন্তু পানি যাওয়ার মত ব্যবস্থা রাখে নাই।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আল- আমিন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পানি জমে থাকে। এতে গাড়ি পানির মধ্যে দিয়ে স্লো চলে, যার কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার ভয় থাকে।
মুক্তারপুর ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ শাহজালাল রুমী বলেন, ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে ৫০ মিটার স্থানে বৃষ্টি নামলেই জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যা বৃষ্টি চলে গিয়ে রৌদ্র উঠার পরেও জলবদ্ধতা থেকে যায়। বিষয়টি আমরা সড়ক ও জনপদের লোকজনকে জানাই। সড়ক ও জনপদের লোকজন এসে বলে সড়কের এই স্থানটি তাদের নয় সেতু কর্তৃপক্ষের। পরে সেতু কর্তৃপক্ষের জানালে তারা এসে পরিদর্শণ করে গেলও কিন্তু কোন কাজতো করছে না।
এ ব্যাপারে সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারি প্রকৌশলী মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ভারি বৃষ্টি হলে ওই স্থানে পানি জমে। আমরা বিষয়টি দেখবো।
সান নিউজ/এনকে