সান নিউজ ডেস্ক: ১০০টি সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার (২৯ মে) হাইকোর্টের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গাছে সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১০
জানা গেছে, সেলিম খান গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। সবশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নয়জন সদস্যসহ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল করার ফলে মেঘনা নদী থেকে সেলিম খানের বালি তোলার আর কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে, গত ৪ এপ্রিল চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে কড়াকড়ি
এর আগে মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিটে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
অভিযোগ রয়েছে, গত আট বছর ধরে পদ্মা ও মেঘনা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে চলেছেন সেলিম খান। তবে এই আট বছরে সরকারকে এক টাকাও রাজস্ব দেননি। এমনকি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে।
সান নিউজ/কেএমএল