ক্রীড়া প্রতিবেদক: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশের জয়। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৭৪ রানের পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৫ রানের অবিশ্বাস্য জয় পায় টাইগাররা।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ছাড়া মাঠে নামছে টাইগাররা
এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ালেও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় আয়ারল্যান্ড। সেবারও সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশ রেকর্ড ৩৪৯ রান করেও সেই দিন বৃষ্টির কারণে জয় বঞ্চিত হয়।
আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৭৫ রানের। ৪১ ওভার শেষে ৩ উইকেটেই ২২৩ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। ৫৪ বলে দরকার ৫২, হাতে ৭টি উইকেট। বাংলাদেশের সামনে তখন নিশ্চিত হার।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে দলে রদবদলের জায়গা নেই
এমন সময়ে বাজি ধরেন তামিম ইকবাল। টাইগার অধিনায়ক আক্রমণে আনেন অকেশনাল স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। শান্ত নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন অধিনায়ককে। সেট ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে (৪৮ বলে ৪৫) আউট করেন অফস্পিনে। এরপরই ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় ম্যাচ।
সিরিজের সমতায় আনার জন্য শেষ ১২ বলে আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটার এডেয়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন।
দলীয় ৪৯তম ওভারে অভিষিক্ত পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে বল তুলে দেন টাইগার কাপ্তান তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত অষ্টম ওভারে প্রথম দুই বল এক রান দেন এ পেসার। এর পরের বলেই লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকান এডেয়ার। পরের দুই বলে ২ রান ও বাউন্ডারি হাঁকান এ ব্যাটার। শেষ বলে এক রানে শেষ হয় এই অভিষিক্ত পেসারের ওভার।
শেষ ওভারের দায়িত্বে হাসান মাহমুদ। এসেই চমক দেখালেন এই পেসার। এসেই ব্রেক-থ্রু এনে দেন হাসান। ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ফিরেন এ ব্যাটার। পরের বলে আসে এক রান। এর পরে বলে আবারও আস্থার প্রতিদান দিলেন হাসান। ফিরালেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে। শেষ তিন বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। আর শেষ বলে প্রয়োজন ৬ রান।
সান নিউজ/এনকে