আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের শান্তির সংস্কৃতির রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃত’ রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে করোনার অতিমারি সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ কাটিয়ে উঠতে শান্তির সংস্কৃতির মহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম শাসনামলে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভার্চ্যুয়ালি ‘শান্তির সংস্কৃতি : করোনা মহামারির সময়ে পৃথিবীকে আবার ভালো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের ফোরামটি অনুষ্ঠিত হয়। করোনায় সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রেও যে শান্তির সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের এ ফোরাম তারই স্বীকৃতি।

সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশনটি গ্রহণ শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর বিশ্বাস ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। রেজুলেশনটিকে উদারভাবে সমর্থন করার জন্য রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, রেজুলেশনটির সার্বজনীনতার কারণেই জাতিসংঘের প্রধান প্রধান কার্যাবলীতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ একটি প্রভাব সৃষ্টিকারী ধারণায় পরিণত হতে পেরেছে। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে এটি একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত যা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘ সনদের দায়বদ্ধতার পরিপূরক হিসেবেও ভূমিকা রেখে চলেছে।

শান্তির সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের জনকেন্দ্রিক জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। শিক্ষা, টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবাধিকার সুরক্ষা, পুরুষ ও নারীর সমতা, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ, সহনশীলতা ও সংহতি বজায় রাখা, তথ্য ও জ্ঞানের অবাধ প্রবাহ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এই আটটি ক্ষেত্রে বাস্তব ভিত্তিক নীতি কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ‘শান্তির সংস্কৃত ‘ ধারণাটি পুরোপুরি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আস...

কর্মস্থলে না এসেও বেতন তোলেন শিক্ষক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১৮মে) বেশ কিছু খেল...

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশ রক্ষায় অবৈধ চাই ধ্বংস 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থ...

মুন্সীগঞ্জে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোটগাঁ...

ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সা...

পটল কেন উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পটল আমাদের দেশের পরিচিত একটি সবজি, যা খেতে...

মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

জেলা প্রতিনিধি: বিচারের আগে মিডিয...

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে পরিবর্তন

টেকলাইফ ডেস্ক: জনপ্রিয় যোগাযোগ মা...

মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ষষ্ঠ উপজেলা পরি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা