এম.এ আজিজ রাসেল : পানি নিয়ে অপেক্ষমান রাখাইন তরুণীরা। আর রঙ—বেরঙের পোষাক পরে নেচে—গেয়ে প্যান্ডেলে আসছে কিশোর—তরুণের দল। প্যান্ডেলে পৌঁছালেই শুরু হয় একে— অপরকে লক্ষ্য করে জল নিক্ষেপ। এটা রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি জলকেলি উৎসব বা সাংগ্রাইন পোয়ে।
আরও পড়ুন : অবশেষে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি
সোমবার (১৭ এপ্রিল) শহরের ১১টি প্যান্ডেলে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
রাখাইনদের বিশ্বাস, এই মঙ্গলজল ছিটানোর মধ্য দিয়ে মুছে যায় পুরাতন বছরের ব্যথা,বেদনা, গ্লানি, অপ্রাপ্তি আর অসঙ্গতি। এতে নতুন বছরকে শুচিতার মাধ্যমে বরণ করা হয়ে থাকে সকলের মঙ্গল কামনায়।
আরও পড়ুন : পদ্মায় ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু
সর্ববৃহৎ এ সামাজিক উৎসবকে ঘিরে রাখাইন পল্লীগুলো বইছে আনন্দ—উচ্ছাসের। আর এতে শিশু—কিশোর ও তরুণ—তরুণীরা নাচে—গানে মেতে উঠেছে।
রাখাইন সম্প্রদায়ের পাশাপাশি স্থানীয়দের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে উৎসবস্থল। এ যেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
আরও পড়ুন : গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেন হ্লা রাখাইন বলেন, রোববার (১৬ এপ্রিল ) শেষ হয়েছে রাখাইন বর্ষ ১৩৮৪ সন। আর রোববার থেকে শুরু হয়েছে নতুন ১৩৮৫ রাখাইন বর্ষ।
জলকেলি বা সাংগ্রেং পোয়ে ধর্মীয় কোন রীতি নয়, সামাজিক রীতি মতে রাখাইন সম্প্রদায় এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এই উৎসব চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
জেলার সদর সহ রামু, টেকনাফ, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলার রাখাইন পল্লীগুলোর অন্তত অর্ধ শতাধিক প্যান্ডেলে এই উৎসব পালিত হচ্ছে।
সান নিউজ/এইচএন