নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল: বরিশালে থেকে স্থানীয় ও দূরপাল্লার সব রুটের লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রূপাতলি জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে হঠাৎ লঞ্চ ও বাস হয়ে যায়। এছাড়া সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিবহনের গাড়ি দিয়ে সদর উপজেলা সংলগ্ন প্রায় এক কিলোমিটার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০-৪০ জন আহতের জেরেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পরিমল চন্দ্র দাস জানান, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবৈধ ব্যানার উচ্ছেদে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মীরা। এ সময় ইউএনওর উপস্থিতিতে তাদের ওপর গুলি চালান আনসার সদস্যরা। খবর পেয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সেখানে গেলে তাকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়, তবে গুলি তার গায়ে লাগেনি।
তিনি আরও জানান, গুলির ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, কর্মকর্তা, বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাই ইউএনওর বিচারের দাবিতে বরিশালের নথুল্লাবাদ ও রূপাতলীসহ সব টার্মিনাল থেকে বাস, লঞ্চ ও মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরিশালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে মালিকরা সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে লঞ্চ চলাচল শুরু করার ব্যাপারে মালিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আলোচনা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে মেয়র নিজেই জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ